কর্মস্থল, বিমানবন্দর, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন, শপিংমলের মতো জনসমাগমস্থলে এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত ও ব্যবস্থাপনায় বিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে মাতৃদুগ্ধ কর্নার স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ রোববার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ এই রায় দেন। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে এই রায় বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান। ইশরাত হাসান বলেন, বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ব্রেস্ট ফিডিং রুম ইতিমধ্যেই স্থাপিত হয়েছে। এটি যুগান্তকারী রায়। রায় পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে কর্মজীবী নারীরা শিশুদের কর্মক্ষেত্রে রেখেই স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, শিশু উমাইর তার মা-বাবার সঙ্গে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েছিল। বেড়ানো শেষে ঢাকায় ফেরার পথে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অনিবার্য কারণে ফ্লাইটে কয়েক ঘণ্টার বিলম্ব হয়। প্রচুর ক্ষুধায় কান্নাজুড়ে দেয় শিশুটি। তার কান্না থামাতে মা বুকের দুধ খাওয়ানোর উদ্যোগ নেন। কিন্তু তার মা শিশুটিকে দুধ খাওয়ানোর কোনো পরিবেশই পাচ্ছিলেন না। পরে ঢাকায় এসে শিশু উমাইরকে নিয়ে তার মা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান হাইকোর্টে ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর এ রিট দায়ের করা হয়।
সূত্র : ঢাকটাইমস