শ্রীলঙ্কার প্রাকৃতি সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। এ দেশের নাম শুনতেই সবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে সবুজ পাহাড় ও দৃষ্টিনন্দন সব সৈকতে পরিপূর্ণ এক স্থানের প্রতিচ্ছবি।
দেশটিতে পর্যটকদের জন্য আছে অনেক আকর্ষণ। যা একে বানিয়েছে পর্যটকদের এক প্রাণকেন্দ্র। এরই মধ্যে যারা শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে যাবেন বা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তারা কয়েকটি স্পট ঘুরতে ভুলবেন না। জেনে নিন শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে ঢুঁ মারবেন যেসব বিস্ময়কর স্থানে-
নয় খিলানের ব্রিজ, ডেমোদারা, ইলা
এটি শ্রীলঙ্কার বিখ্যাত সেতুগুলোর একটি। এটি ‘ব্রিজ ইন দ্য স্কাই’ নামেও পরিচিত। ঔপনিবেশিক শাসনামলের এক নজরকাড়া স্থাপত্যকর্ম এটি। এই ব্রিজের দৈর্ঘ্য ৯১ মিটার ও প্রস্থ ২৪ মিটার।
কলম্বো সিটি স্কাইলাইন ভিউ
শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে কোনো পর্যটকই যে দৃশ্যটি মিস করতে চান, সেটি হলো সূর্যাস্তের সময় বেইরা লেক ও কলম্বো সিটি স্কাইলাইন ভিউ। বেইরা লেকের অবস্থান কলম্বো শহরের একেবারে মাঝখানেই।
অ্যাডামস পিক
সেন্ট্রাল শ্রীলংকায় অবস্থিত ২ হাজার ২৪৩ মিটার উচ্চতার নজরকাড়া অ্যাডামস পিক একটি নজরকাড়া সংকীর্ণ পাহাড়। এই পাহাড়ের খ্যাতি আছে।
এর চূড়ার এক পাথরে নাকি পবিত্র পদচিহ্ন আছে! যা ‘শ্রীপদ’ হিসেবে পরিচিত। এটি ১.৮ মিটার লম্বা। এই পদচিহ্নের বিষয়ে বোদ্ধরা বলেন গৌতম বুদ্ধের, শৈবরা বলেন শিবের ও খ্রিস্টানরা বলেন সেন্ট থমাসের। রাতেরবেলা আলোকিত পাহাড়টিকে দেখতে দারুণ লাগে।
ডাম্বুলা
ডাম্বুলা শহরের স্বর্ণমন্দিরকে ডাম্বুলার গুহা মন্দিরও বলা হয়। এটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। পর্যটকরা এই স্থানে ঢুঁ মারতেও ভুলেন না।
সীতা আম্মান মন্দির, নুওয়ারা এলিয়া
শ্রীলঙ্কাকার নুওয়ারা এলিয়া অঞ্চলেই নাকি সীতা বন্দী হয়েছিলেন প্রেতাত্মাদের দ্বারা।এখানকার সীতা নদীকে স্থানীয়রা পবিত্র বলে মনে করেন। চাইলে ঘুরে আসতে পারেন এই স্থান থেকেও।
ওয়েলিগামা
শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ উপকূলীয় মাতারা জেলায় অবস্থান ওয়েলিগামা শহরের। এই এলাকার বালুকাময় সাগরের কারণে ‘ওয়েলিগামা’ নামকরণ হয়েছে। যার অর্থ হলো বালুকাময় গ্রাম।
ওয়েলিগামা শহরের সাগরঘেঁষা বিস্তৃত এলাকার দৃশ্য সবাইকে মুগ্ধ করে। বিশেষ করে উপর থেকে দেখলে সাগরে ভাসমান জেলে নৌকা, সৈকত ও উত্তাল ঢেউয়ে ভাঙতে থাকা প্রবালপ্রাচীর নজরে আসবে।