শ্রীমঙ্গল জেলা শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের পাশে ভাড়াউড়া চা বাগান সংলগ্ন প্রায় ২৫.৮৩ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট। অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা বেশ কয়েকটি টিলা ও চা বাগান নিয়ে এই রিসোর্টটি তৈরি হয়েছে। এটি মূলত পুরোনো একটি বৃটিশ বাংলো, যাকে রিসোর্টে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
অত্যন্ত সুরক্ষিত এই রিসোর্টে ১টি অফিস ভবন, ২টি ভিআইপি লাউঞ্জ, ১৪টি বাংলো, ৯টি স্টাফ হাউজ, ৫০টি শ্রমিক সেইড, ২টি পাম্প হাউজ, ১টি পানির ট্যাংক, ১টি জেনারেটার হাউজ ও ১টি জ্বালানি স্টোরসহ একটি বিদেশী রেস্ট হাউজের জন্য যে সকল সুযোগ- সুবিধা প্রয়োজন তার সবকিছুই রয়েছে।
পর্যটকদের জন্য রয়েছে সুইমিং পুল, ১টি অত্যাধুনিক টেনিস কোর্ট ও একটি বেডমিন্টন কোর্ট। এছাড়া প্রতিটি কটেজে উন্নত মানের ড্রইং, ডাইনিং, কিচেন, স্টোর রুম, ফ্রিজ রুম, বাথরুম সহ ঠান্ডা ও গরম পানির ব্যবস্থা রয়েছে।
বড়লেখার মাধবকুন্ডসহ এখানাকার অনেক দর্শনীয় স্থান এই রিসোর্টে অবস্থানকালে দেখা যাবে। তাছাড়া আশপাশের চা বাগান তো দেখার মতই।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় সম্পূর্ণ বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত এই টি-রিসোর্টে মোট ১৪টি কটেজ রয়েছে। ১২টি কটেজ ২ বেড রুমের আর বাকি দুটি কটেজ ৩ বেড রুমের। কটেজের ভাড়া যথাক্রমে ৪০২৫ টাকা ও ৫৭৭৫ টাকা।
এই রিসোর্টটি যে কাউকে মুগ্ধ করবেই। ঝুম ঝুম বৃষ্টির দিনে কিংবা কোনো শীতের সন্ধ্যায় হালকা কুয়াশায় ঘেরা চা বাগান, সকালের কিংবা নিস্তব্ধ দুপুরের চা বাগান দেখার সুযোগ এখনো যাদের হয়ে ওঠেনি, তারা ঘুরে আসতে পারেন চায়ের দেশ শ্রীমঙ্গলের টি রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়ামটি থেকে।
যেভাবে যাবেন:
শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্টে যেতে হলে আগে থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা পরিবহন সুবিধা দেবে। সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে যে কোনো পরিবহণে শ্রীমঙ্গল পৌছাতে হবে। শ্রীমঙ্গল শহরে এসে অপেক্ষা করলে তারা গাড়ি করে সহজেই পৌঁছে দেবে রিসোর্টে।