বেড়ানোর পরিকল্পনার প্রথম ধাপ যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নীরস পিডিএফ ডাউনলোড করা হতে পারে, কস্মিনকালেও কেউ ভেবেছিল? সত্যি, অতিমারি রোজ কত কী শেখাচ্ছে! নিয়মাবলি খুঁটিয়ে পড়ে জানা গেল, আপাতত বেড়াতে যাওয়ার পক্ষে সবচেয়ে ঝক্কিহীন জায়গা গোয়া। হেলথ স্ক্রিনিং বা কোয়রান্টিনের ব্যাপার নেই, স্মার্টফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকলেই হল।
তার পরেও এই গোয়া অচেনা। শীতকালের সৈকত রাজ্যে সব কিছুর দাম যেমন আকাশছোঁয়া, ভিড়ের চোটে ঠাঁই পাওয়াও তেমনই কঠিন। এ বার সার্জ প্রাইস তো নেই, বিচ রিসর্টেও ডিসকাউন্ট। মাণ্ডবী নদীর ক্রুজ়ও আগে থেকে বুক করতে হল না। মোদ্দা কথা, সব টুরিস্ট স্পটই অস্বাভাবিক ফাঁকা। তাই বেড়ানোও হল একেবারে নিজস্ব শর্তে।
ব্যক্তিগত মত, পানাজি শহরে থাকতে গেলে ঠিকানা ফনটেনহাস হওয়াই উচিত। প্রাচীন পর্তুগিজ় পাড়া, সব স্থাপত্য সে রকম। সরু রাস্তাগুলো যেন ছবিতে আঁকা, যেমন দেখা যায় ইউরোপের নানা শহরে। পুরনো ভিলা বা ছোট বাড়িগুলোর টানা ঝুলবারান্দা, হলুদ সবুজ নীল রঙে চোখ জুড়িয়ে যায়। পর্তুগিজ় ঐতিহ্যে রঙিন এই পাড়া ইউনেস্কো হেরিটেজ জ়োন। সকালবেলার আলোয় পায়ে হেঁটে ফনটেনহাসের অলিগলিতে ঘুরে না বেড়ালে গোয়া দেখা অসম্পূর্ণ। ক্রিসমাসের সময় তা আবার বাহারিআলোয় সেজে ওঠে।