হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের ৭৭ শতাংশের বেশি কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। আগামী অক্টোবরে এর ‘সফট ওপেনিং’ (আংশিক উদ্বোধন) করা হবে। টার্মিনালটি পুরোপুরি চালু হবে আগামী বছর।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের অগ্রগতি বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এ তথ্য জানান।
মফিদুর রহমান বলেন, ‘তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি আমরা। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধনের (সফট ওপেনিং)। এ জন্য প্রকল্প এলাকায় দিন–রাত কাজ চলছে। আপনারা জানেন আজ থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে, কিন্তু আমাদের এখানে তিন-চার হাজার শ্রমিক ছুটিতেও কাজ করে যাবেন। তাঁরা শুধু ঈদের দিন কাজ করবেন না, এর পরের দিন থেকে তাঁরা আবার কাজ শুরু করবেন।’
অক্টোবরের আগে প্রকল্পটির ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ৭৭ দশমিক ৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১২ শতাংশের মতো কাজ অক্টোবরের আগেই শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
তৃতীয় টার্মিনালটি চালু হলে এর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ জাপানের প্রতিষ্ঠান পাবে, এমন ইঙ্গিত দিয়ে বেবিচকের চেয়ারম্যান বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ও কার্গো হ্যান্ডলিংটা আমাদের একটি বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের (জাপান) অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দিয়ে করানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে এসব কাজ হবে। এ ব্যাপারে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের একটি সমীক্ষা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিমানবন্দর এখানে তৈরি করতে যাচ্ছি। এখানে ব্যবস্থাপনা থাকবে আন্তর্জাতিক মানের।’
এখন বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বেবিচকের চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোয় একাধিক গ্রাউন্ড হ্যান্ডলার থাকে। এতে এয়ারলাইনসগুলো তাদের পছন্দমতো গ্রাউন্ড হ্যান্ডলারের কাছ থেকে সেবা নিয়ে থাকে। বাংলাদেশেও একাধিক গ্রাউন্ড হ্যান্ডলার থাকলে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা তৈরি হবে বলে তিনি মনে করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল মালেকসহ তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণসংক্রান্ত প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।