বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ অপরাহ্ন

শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীরা যেভাবে ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা নিতে পারেন

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩

ফ্রান্সে আসা শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী, উদ্বাস্তু এবং অনথিভুক্ত অভিবাসীদের অনেকেই পুনরায় উচ্চশিক্ষা শুরু করতে চান। এক্ষেত্রে সুযোগ যেমন আছে, তেমনি রয়েছে বেশ কিছু প্রশাসনিক পদ্ধতি। ইনফোমাইগ্রেন্টসের বিশেষ প্রতিবেদন।

২০১৫ সাল থেকে ফ্রান্সে আসা অভিবাসীদের উচ্চশিক্ষায় প্রবেশ সহজ করতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ৷ কিন্তু এসব প্রক্রিয়া এখনও নতুনদের জন্য বেশ জটিল।

ফরাসি বিশ্ববিদালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রায়ই অভিবাসীদের মূল দেশের ওপর ভিত্তি করে তাদের নিজ দেশে অর্জিত ডিপ্লোমার সমমান এবং ডিপ্লোমার সনদগুলো ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করতে বলা হয়। একজন অভিবাসীকে ফরাসি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিবন্ধিত হতে বৈধ রেসিডেন্ট পারমিটধারী হতে হয় না।

অভিবাসীদের উচ্চশিক্ষায় প্রবেশে সহায়তাকারী সংস্থা এমইএনএস নেটওয়ার্কের পরিচালক কামি হানো ইনফোমাইগ্রেন্টসকে বলেন,

ফ্রান্সে উচ্চ শিক্ষায় প্রবেশ নিঃশর্ত। এর মানে হল কোন ব্যক্তির প্রশাসনিক অবস্থার কারণে তার নিবন্ধন প্রত্যাখ্যান করার অধিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই।

কোর্স

উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী ব্যক্তিকে প্রথমে তিনি কোন ধরনের কোর্স করতে চাচ্ছেন সেটি ঠিক করতে হবে। ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডিসহ বিভিন্ন ধরনের কোর্স পছন্দ করার সুযোগ থাকে।

এক্ষেত্রে আগ্রহীরা ক্যাম্পাস ফ্রান্স ওয়েবসাইটে দেয়া বিভিন্ন তালিকা থেকে শহর ও বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী কোর্স পছন্দ করতে পারেন। ক্যাম্পাস ফ্রান্স একটি সরকারি এজেন্সি। বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফ্রান্সে অধ্যয়ন সম্পর্কিত নানা তথ্য দেয় এজেন্সিটি।

এছাড়াও, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে তাদের কোর্সের তালিকা দেয়া থাকে। সেখানে ভর্তির শর্ত, ওই কোর্স শেষে পেশাগত সুযোগ নিয়ে নানা তথ্য দেয়া থাকে৷

ডিইউ পাসেরেল

ডিইউ পাসেরেল বা DU Passerelle হচ্ছে এক বছর বা দুই সেমিস্টার মেয়াদি একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রাম। ২০১৯ সাল থেকে এমইএনএস নেটওয়ার্কের আওতায় যেসব ফরাসি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রাম খোলা হয়েছে সেগুলোকে এক প্লাটফর্মে আনা হয়েছে।

এই প্রোগ্রামটি অভিবাসীদের নির্দিষ্ট চাহিদা বিবেচনা করে প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০২৩ সালে ফ্রান্স জুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দেড় হাজার শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী ও অভিবাসী শিক্ষার্থীকে এই প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ দেয়া হবে।

বৃহত্তর প্যারিস অঞ্চলের ১৫টিসহ ফ্রান্স জুড়ে ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রামটি চালু আছে। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ তালিকায় আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় যোগ হওয়ার কথা রয়েছে।

ভর্তির শর্ত

তবে এই প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য ফরাসি ভাষার দক্ষতা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তার নিজ দেশ থেকে কমপক্ষে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে আসতে হবে।

ফরাসি ভাষার শর্ত দেয়া হয়েছে কারণ, এই ডিপ্লোমার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বি২ সমমানের ফরাসি ভাষা অর্জন করা। যাতে করে তারা পরবর্তীতে ব্যাচেলর, মাস্টার্স অথবা অন্য পেশাদার কোর্স শুরুর জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন।

বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী ফরাসি ভাষার শর্তও ভিন্ন হয়। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে একদম শুরু থেকে ভর্তি নিলেও অনেক বিশ্ববিদালয়ে নূন্যতম এ২ কিংবা বি১ সমমানের ফরাসি ভাষা জানার শর্ত দেয়া হয়।

এই ডিপ্লোমার প্রধান সুবিধা

ডিইউ পাসেরেল প্রোগ্রামে ফরাসি ভাষা, ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ফরাসি উচ্চ শিক্ষা শুরুর জন্য একাডেমিক মেথডোলোজি শেখানো হয়। এছাড়া শরণার্থী মর্যাদা ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রাপ্ত ব্যক্তিরা এই প্রোগ্রামে ভর্তির মাধ্যমে ফরাসি সরকারের সামাজিক আবাসন ও বৃত্তির সুযোগ পেয়ে থাকেন।

আগে ব্যাচেলর, মাস্টার ও ডক্টরেট প্রোগ্রামের জন্য অভিবাসীরা এমন সুবিধা পেতেন। তবে এখন এই প্রোগ্রামের মাধ্যমেই শরণার্থী ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পাওয়া ব্যক্তিরা মাসিক বৃত্তি ও আবাসন পেতে পারেন।

শরণার্থী ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনের (ইউইই) অ্যাডভোকেসি অফিসার সোফিয়া দাগনা বলেন, “এই কোর্স্টি একটি সেতুবন্ধনের মতো। যারা এটির মধ্য দিয়ে গেছে তাদের জন্য অ্যাকাডেমিক ও সামাজিক ইন্টিগ্রেশন অনেক সহজ হয়ে যায়।”

শিক্ষার্থীদের অতীত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঙ্গে মিল রেখে সঠিক বিশ্ববিদালয়ে ভর্তি পরামর্শ দিয়ে থাকে ইউইইসহ সংস্থাগুলো। যাতে করে প্রোগ্রামের পর তারা যেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর কিংবা মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ পান।

এমইএনএস নেটওয়ার্কের কামি হানো বলেন, “ক্যারিয়ারের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবেদনকারীদের অ্যাকাডেমিক এবং পেশাদার প্রকল্পের সঙ্গে মিল রেখে ডিইউ প্রোগ্রামে ভর্তি নেয়। উদাহরণস্বরূপ, কেউ জীববিজ্ঞান নিয়ে অতীতে পড়াশোনা করে থাকলে আমরা তাদের বিজ্ঞান-ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা ডিইউ প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার নির্দেশ দিয়ে থাকি।”

আবেদন প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য, বৃহত্তর প্যারিস অঞ্চলের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি সমন্বিত গুচ্ছ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। প্রথম দফায় মে মাসে, দ্বিতীয় দফায় জুন-জুলাই এবং আসন খালি থাকা সাপেক্ষে সেপ্টেম্বরে তৃতীয় দফায় আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়।

শরণার্থীদের জন্য সংরক্ষিত অন্যান্য প্রশিক্ষণ

ফ্রান্সে শরণার্থী মর্যাদাপ্রাপ্তদের জন্য প্যারিসের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওরিয়েন্টাল ল্যাঙ্গুয়েজেস অ্যান্ড সিভিলাইজেশনস (ইনালকো) এক বছর মেয়াদি একটি ডিইউ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। এটির লক্ষ্য আগ্রহীদের অভিবাসন, সামাজিক কর্মী কিংবা দোভাষী হিসেবে দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করা৷

প্রতিদিন সন্ধ্যায় এই কোর্সের ক্লাস হয় যাতে করে শরণার্থীরা দিনের বেলায় তাদের চাকরি চালিয়ে নিতে পারেন।

এই প্রোগ্রামটি শরণার্থী শিক্ষার্থীদের ভাষা দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। ডিগ্রিটি সফলভাবে শেষ করতে পারলে সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন অভিবাসন সংস্থাসহ ফরাসি প্রশাসনে দোভাষী অথব সামাজিক কর্মী হিসেবে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ আরবি, উর্দু, ফারসি, পশতু, বাংলা, তিগ্রিনিয়া, লিঙ্গালা এবং সোয়াহিলিভাষী শরণার্থী। তবে মনে রাখতে এই বিশেষ কোর্সে আবেদনের জন্য একজন শরণার্থীকে অবশ্যই একটি স্নাতক ডিগ্রি এবং বি২ সমমানের ফরাসি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে।

লিঅঁ

প্যারিসে বাইরে দ্বিতীয় বৃহত্তম ফরাসি শহর লিঅঁতে অবস্থিত লিঅঁ লুমিয়ের ইউনিভার্সিটি এমনই একটি ডিপ্লোমা পরিচালনা করে।

এই কোর্সের জন্যেও অবশ্যই একটি স্নাতক বা সমতুল্য ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বি২ লেভেলের ফরাসি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে।

মার্সেই

ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাক্স-মার্সেই একটি ডিইউ প্রোগ্রাম পরিচলানা করে। যেটি আন্তর্জাতিক সুরক্ষাপ্রাপ্ত সব ব্যক্তিদের জন্য উন্মুক্ত। এটির উদ্দেশ্য হল ফরাসি আইন এবং সংস্কৃতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা দেয়া। এটি শেষ করার পর আগ্রহীরা ফ্রান্সে আইন বিষয়ে পড়াশোনার জন্য প্রথাগত ব্যাচেলর কোর্সে আবেদন করতে পাবেন।

ফ্রান্সে বিদেশি ডিগ্রির স্বীকৃতি

উপরে উল্লেখিত সব কোর্সে ভর্তির জন্য বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে ডিপ্লোমা চেয়ে থাকে। একজন শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী অথবা অনিয়মিত অভিবাসী তার নিজ দেশ অর্জিত ডিগ্রিটি ইউরোপিয়ান নেটওয়ার্ক অব ইনফরমেশন সেন্টারের ফ্রান্স শাখা থেকে সমমান করতে হয়।

একজন ব্যক্তিকে এটির জন্য ৭০ ইউরো ফি দিতে হয়। তবে আশ্রয়প্রার্থী, উদ্বাস্তু, শরণার্থী এবং সহায়ক সুরক্ষার সুবিধাভোগীদের জন্য এটি বিনামূল্যে এবং দ্রুততর পদ্ধতিতে করে দেয়া হয়। এক্ষত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তার প্রশাসনিক অবস্থার প্রমাণ হিসেবে নথি জমা দিতে হবে।

ডিপ্লোমা হারিয়ে গেলে কিংবা না থাকলে

অনেক অভিবাসীরা আছেন যারা নিজ দেশ থেকে আসার সময় তাদের ডিগ্রির নথি সঙ্গে নিয়ে আসতে পারেন না এবং পরবর্তীতে আবার আনানো সম্ভব হয় না।

আবার অনেকেই আছেন তাদের ডিপ্লোমা হারিয়ে ফেলেছেন। এছাড়া শরণার্থীদের অনেকের নিজ দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নেই। এক্ষেত্রে তারা কী করবেন? তারা কি আবারও ফ্রান্সে পড়াশোনা শুরু করতে পারবেন?

এসব প্রশ্নের উত্তরে কামি হানো বলেন, “নিজের ডিগ্রি সঙ্গে না থাকা অভিবাসন রুট দিয়ে আসা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ ঘটনা। জেনে রাখা ভালো সব কিছুর পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সম্ভব। ডিপ্লোমা দেখানোর বাধ্যবাধকতা নেই৷’’

তিনি জোর দিয়ে বলেন,

লিসবন কনভেনশন নামের একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির অধীনে শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট এবং সহজতর পদ্ধতি স্থাপন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে আগ্রহীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট পরিষেবাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং ব্যক্তির পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের অবহিত করতে হবে।

কোন শরণার্থীর যদি ইতিমধ্যেই একটি নির্দিষ্ট পেশায় কমপক্ষে এক বছরের পেশাদার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে তিনি দক্ষতা যাচাইয়ের অর্জিত অভিজ্ঞতার (ভিএই) মাধ্যমে স্বীকৃতি নিতে পারবেন।

ভিএই উইদাউট বর্ডারস নামে একটি সংস্থা অভিবাসীরা তাদের পেশাগত অভিজ্ঞতা ফ্রান্সে স্বীকৃত করতে সহায়তা করে। এই সমর্থন থেকে উপকৃত হতে এবং ভিএইএর জন্য আবেদন করতে একজন ব্যক্তিকে কাছের যে কোনো ডিএভিএ অ্যাকাডেমি (অ্যাকাডেমিক ডিভাইসস ফর ভ্যালিডেশন অফ অ্যাকোয়ার্ড স্কিল) সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। স্থানীয় অ্যাকাডেমির লিস্ট পেতে এখানে ক্লিক করুন

ফরাসি ভাষা দক্ষতার সনদ

কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ভাষার দক্ষতা দেখাতে হয়৷ ফ্রান্সে টিসিএফ এবং ডেলফ পরীক্ষার মাধ্যমে যে কেউ নিজের ভাষা দক্ষতা যাচাই করে সনদ নিতে পারেন।

টিসিএফ সনদের মেয়াদ থাকে দুই বছর এবং ডেলফ সনদের মেয়াদ আজীবন। এসব পরীক্ষাগুলো অনেক সময় ব্যয়বহুল হতে পারে। যার ফি ৯০ ইউরো থেকে শুরু করে ১৮৪ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালর সনদ না চেয়ে সরাসরি একটি ভর্তি পরীক্ষা এবং মৌখিক সাক্ষাৎকারের আয়োজন করে ভর্তিচ্ছুদের দক্ষতা নির্ধারণ করে থাকে।

ডিএএ প্রক্রিয়ায় ভর্তির আবেদন

ফ্রান্সে ব্যাচেলর বা স্নাতকে ভর্তির সম্মিলিত প্রক্রিয়া Parcoursup নামের একটি অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

অনিয়মিত অভিবাসী, আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীদের জন্য এই প্রক্রিয়া বেশ জটিল৷ ভর্তি প্রক্রিয়া আরও নমনীয় করতে এমইএনএস নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টেড অ্যাডমিশন অ্যাপ্লিকেশন (ডিএএ) তৈরি করেছে।

এই সরলীকরণ অভিবাসীদের Parcoursup এবং অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন প্ল্যাটফর্মের জটিলতা এড়াতে সহায়তা করে। এটির উদ্দেশ্য হল সাধারণ আবেদনের সময়সীমার বাইরে বছরের যে কোন সময় ভর্তির জন্য আবেদনে সহায়তা করা।

ইতিমধ্যে ফ্রান্সের চারটি বিশ্ববিদ্যালয় অভিবাসীদের জন্য এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত করেছে। সেগুলো হলো: সর্বন বিশ্ববিদ্যালয়, প্যারিস সাক্লে, স্ট্রসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং উত্তর ফ্রান্সের লিতোরাল কোত অপাল আইইউটি৷

এমইএনএস নেটওয়ার্কের ওয়েবসাইটে এই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়া হয়েছে৷

শরণার্থীদের জন্য বৃত্তি

অভিবাসীরা তাদের পড়াশোনার সময় জীবনযাত্রার অর্থায়ন করতে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবনে। তবে বৃত্তির জন্য অবশ্যই নিয়মিত অভিবাসী হতে হবে।

DU Passerelle স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্সে নথিভুক্তদের বয়স ২৮ বছরের কম হলে ফরাসি জাতীয় শিক্ষাবৃত্তি বা CROUS বৃত্তির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

২৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সিরা নির্দিষ্ট বার্ষিক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

অভিবাসী ছাত্রদের জন্য নিবেদিত সংস্থাসমূহ

একজন অভিবাসী ফ্রান্সে পুনরায় পড়াশোনা শুরু করতে চাইলে তাকে সহায়তার জন্য ফ্রান্সে বেশ কিছু সংস্থা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

এসব সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের অ্যাকাউন্টগুলোতে নিয়মিত বিভিন্ন তথ্য দেয়া হয়। এছাড়া অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে সরাসরি তাদের কার্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

ঠিকানা : Maison des Réfugiés, 50 boulevard Jourdan, 75014

যাদের বসতি প্যারিসের বাইরে তারা ইউইই-এর ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে সহায়তা নিতে পারবেন।

  • ইউনিয়ার(UNIR) সংস্থায় শুধুমাত্র অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে অভিবাসীদের সেবা দেয়া হয়। তাদের ইমেইল ঠিকানা: [email protected]

টেলিফোন: 07 67 14 02 63

  • ইউনিভার্সিটিস ইন বর্ডারস (আরইউএসএফ) নেটওয়ার্ক ফ্রান্সের প্যারিস, লিল, রাঁস, স্ট্রসবুর্গ, দিজো, বেজনসো, লিও, গ্রোনোবল, পোয়াতিয়ের, তুলুজ, মপোলিয়ের, মার্সেই এবং তুলনে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।

প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন ইনফোমাইগ্রেন্টস সাংবাদিক গিয়ুম জেরার্ড। ফরাসি থেকে ভাষান্তর করেছেন মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com