এর আগের দিন শনিবার লাম্পেদুসায় আসে অভিবাসীবাহী সাতটি নৌকা৷ নৌকাগুলোতে মোট ৪৯৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন৷ তারা লিবিয়ার জওয়ারা, সাবারথা, ত্রিপোলি ও তাগিউরা থেকে রওনা হয়েছিলেন৷
আশ্রয়কেন্দ্রের ভিড় সামাল দিতে শনিবার সন্ধ্যায় লাম্পেদুসা থেকে ৩৪৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে যাওয়া হয় ইটালির মূল ভূখণ্ড সিসিলিতে৷
শনিবার সমুদ্র পথে ইটালির সিসিলিয়ান দ্বীপপুঞ্জে আসেন এক হাজার ৩২৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ ২৩টি আলাদা আলাদা ধাপে অভিবাসীরা সেখানে পৌঁছেছেন৷
চলতি বছর ইটালির উপকূলে ভিড় করছেন হাজারো অভিবাসী৷ দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪২ হাজারেরও বেশি অভিবাসী এসেছেন ইটালির উপকূলে৷ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যাটি প্রায় চারগুণ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ইটালি৷
অভিবাসীদের চাপ সামাল দিতে ইটালির দক্ষিণাঞ্চলীয় লাম্পেদুসা দ্বীপের জরুরি অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রোম। বুধবার ইটালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দ্বীপের আশ্রয় ও অভ্যর্থনা কাঠামোতে আরও নতুন ৮৫০টি স্থান যুক্ত হবে।
দেশটির বার্তা সংস্থা আনসা জানিয়েছে, ইটালিমুখী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বেশিরভাগই লিবিয়া এবং টিউনিশিয়ার উপকূল থেকে রওনা হচ্ছেন৷
লিবিয়া থেকে ছেড়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বেশিরভাগ মিশর, মরক্কো, সিরিয়া, ইথিওপিয়া এবং ফিলিস্তিনের নাগরিক৷ আর টিউনিশিয়া থেকে যারা আসেন তাদের বেশিরভাগই আইভরি কোস্ট, ঘানা, গাম্বিয়া, মালি এবং সুদানের নাগরিক৷
দেখা গেছে, লিবিয়া এবং টিউনিশিয়া থেকে ছেড়ে আসা অভিবাসীবাহী নৌকাগুলোর মধ্যেও রয়েছে পার্থক্য৷ লিবিয়া থেকে যেসব নৌকাগুলো আসে, সেগুলো সাধারণত কাঠের তৈরি৷ লম্বায় একেকটি ১০ থেকে ১২ মিটার পর্যন্ত হয়৷ সেখানে অন্তত ১৩০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে বসানো হয়৷
অপরদিকে, টিউনিশিয়া থেকে ছেড়ে আসা নৌকাগুলো তুলনামূলক ছোটো হয়৷ এগুলো লম্বায় ছয় থেকে সাত মিটার৷ ৫০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর ধারণক্ষমতা সম্পন্ন নৌকাগুলো তৈরি হয় হয় ধাতব পদার্থ দিয়ে৷