রতের লাদাখ অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এখানকার তুষারে আচ্ছাদিত হিমালয় পর্বতমালা, উঁচু পর্বতমালা, হ্রদ আপনাকে মনোমুগ্ধ করবে। গ্রীষ্মের মাসগুলোতে এর সৌন্দর্য অন্য মাত্রায় বেড়ে যায়। পরিষ্কার নীল আকাশ, মনোরম জলবায়ু এবং প্রাণবন্ত ফুল এটিকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন মৌসুমে পরিণত করে তোলে। আপনি লাদাখে গেলে সেখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্যের সৌন্দর্যে হারিয়ে যেতে পারেন। দর্শনীয় স্থানগুলো ছাড়াও লাদাখে অনেক আকর্ষণীয় জিনিস রয়েছে। যা মিস করলে লাদাখ ভ্রমণ থেকে যাবে অসম্পূর্ণ।
প্যাংগং হ্রদ
প্যাংগং হ্রদ একটি পর্যটন আকর্ষণ। এই হ্রদটি বিশ্বের সর্বোচ্চ লবণাক্ত জলের হ্রদ। হ্রদের গভীর নীল ঢেউ চোখে প্রশান্তি দেয়। আবহাওয়া খুব ঠাণ্ডা না থাকলে হ্রদের কাছাকাছি ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাতে পারবেন। প্রায় ১৬০ কিলোমিটার বিস্তৃত প্যাংগং হ্রদের এক-তৃতীয়াংশ ভারতে। বাকি দুই-তৃতীয়াংশ চীনে অবস্থিত। বলিউডের ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমাটি এখানে শ্যুট হয়েছিল। এর পর থেকেই এখানে পর্যটকদের ভিড় আরও বেড়েছে।
খারদুঙ্গা লা পাস-এ বাইক চালানো
খারদুং লা পাস বিশ্বের সর্বোচ্চ যান চলাচলযোগ্য রাস্তা। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। লাদাখে সবচেয়ে দুঃসাহসিক জিনিসগুলোর মধ্যে একটি হল পাসটিতে বাইক চালানো।
জাদুকরী চৌম্বকীয় পাহাড়ের অভিজ্ঞতা
চৌম্বকীয় পাহাড় বা ম্যাগনেটিক হিল, লেহ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিশ্বাস করা হয় যে, এটির একটি অনন্য অ্যান্টি-মহাকর্ষীয় ক্ষমতা রয়েছে। যা নিরপেক্ষ গিয়ারে পার্ক করা গাড়িগুলোকে নিজেরাই পাহাড়ের উপরে যেতে দেয়। এই জাদুকরী ঘটনাটি প্রতি বছর অনেক পর্যটক দ্বারা প্রত্যক্ষ করা হয়। জানা গিয়েছে, পাহাড়ের ঢালগুলোর বিন্যাস একটি অপটিক্যাল বিভ্রম তৈরি করে।
জানস্কার নদীতে রাফটিং
জানস্কার রিভার রাফ্টিং, নতুন বা পেশাদার সবাই করতে পারে। এ সময় আপনি পাহাড়ের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।
ডিস্কিট গোম্পা মঠ পরিদর্শন
মঠটি চতুর্দশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। এটি ভারতের প্রাচীনতম বৌদ্ধ বিহারগুলোর মধ্যে একটি। এটি নুবরা উপত্যকায় অবস্থিত। এর উপরে একটি বিশাল বুদ্ধমূর্তি রয়েছে। এটিকে সুরক্ষার প্রতীক বলে মনে করা হয়।
লেহর রাজপ্রাসাদ পরিদর্শন
লেহর রাজপ্রাসাদ, ইতিহাস প্রেমী এবং শিল্প ও স্থাপত্যের অনুরাগীদের জন্য একটি আদর্শ স্থান। এটি সতেরো শতকে নির্মিত হয়েছিল। এক সময় রাজপরিবারের বাসস্থান হিসেবে এটি ব্যবহৃত হত। নয় তলা বিশিষ্ট প্রাসাদটি থেকে পুরো লেহ শহরের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
শান্তি স্তূপ থেকে সূর্যাস্তের সাক্ষী
শান্তি স্তূপ জায়গাটি আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা দেবে। এটি লেহর চ্যানস্পা পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। ১৯৯১ সালে জাপানি বৌদ্ধদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল জায়গাটি। এটি শান্তির প্রতীক হিসেবে নির্মিত স্তুপগুলোর মধ্যে একটি ছিল। এর ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে। এর দ্বিতীয় স্তূপে একটি ধ্যান কক্ষও রয়েছে।
সূত্র- এনডিটিভি