বিমানবন্দরে যাত্রীদের অন্যতম দুশ্চিন্তার বিষয় হলো লাগেজ। কখনো লাগেজ হারিয়ে যায়, কখনো চুরি হয় আবার কখনো আসে দেরিতে বা ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায়। এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে গেলে যাত্রীর পুরো ভ্রমণের আনন্দটাই মাটি হয়ে যেতে পারে।
তবে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। কিছু সতর্কতা আর পরিকল্পনা থাকলে এই সমস্যা থেকে আপনি অনেকটাই রক্ষা পেতে পারেন।
বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে করণীয়
- সরাসরি ফ্লাইট বুক করুন: যতটা সম্ভব নন-স্টপ বা সরাসরি ফ্লাইট বেছে নিন। একাধিক যাত্রাবিরতির ফ্লাইটে লাগেজ হারানোর আশঙ্কা বেশি; বিশেষ করে ট্রানজিটের সময় কম থাকলে।
- লাগেজ ও ভেতরের জিনিসপত্রের ছবি তুলুন: ভ্রমণে বের হওয়ার আগে লাগেজের ছবি তুলুন এবং আপনি যেগুলো নিতে যাচ্ছেন, তা বিছানায় সাজিয়ে ছবি তুলে রাখুন। লাগেজ হারালে এই ছবি দিয়েই বিমান সংস্থাকে প্রমাণ দেখাতে পারবেন।
- লাগেজ ট্র্যাকিং ব্যবহার করুন: বেশির ভাগ এয়ারলাইনস অ্যাপে লাগেজ কখন চেকইন হয়েছে, প্লেনে উঠেছে কিংবা কখন নামানো হয়েছে, এসব দেখা যায়। চাইলে অ্যাপল এয়ার ট্যাগের মতো ডিভাইস দিয়েও ব্যাগ ট্র্যাক করতে পারেন।
- ভেতরের দিকেও তথ্য লিখে রাখুন: আপনার নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর লাগেজের ভেতরেও লিখে রাখুন। বাইরের ট্যাগ যদি হারিয়ে যায়, তাহলে এটি কাজে আসবে।
- শুধু হ্যান্ডব্যাগ নিন: হাতে নেওয়া ব্যাগ হারানোর ঝুঁকি থাকে না। কম সময়ের জন্য ভ্রমণ হলে লাগেজ না নিয়ে হ্যান্ডব্যাগেই সীমিত থাকুন।
বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে করণীয়
- সরাসরি ফ্লাইট বুক করুন: যতটা সম্ভব নন-স্টপ বা সরাসরি ফ্লাইট বেছে নিন। একাধিক যাত্রাবিরতির ফ্লাইটে লাগেজ হারানোর আশঙ্কা বেশি; বিশেষ করে ট্রানজিটের সময় কম থাকলে।
- লাগেজ ও ভেতরের জিনিসপত্রের ছবি তুলুন: ভ্রমণে বের হওয়ার আগে লাগেজের ছবি তুলুন এবং আপনি যেগুলো নিতে যাচ্ছেন, তা বিছানায় সাজিয়ে ছবি তুলে রাখুন। লাগেজ হারালে এই ছবি দিয়েই বিমান সংস্থাকে প্রমাণ দেখাতে পারবেন।
- লাগেজ ট্র্যাকিং ব্যবহার করুন: বেশির ভাগ এয়ারলাইনস অ্যাপে লাগেজ কখন চেকইন হয়েছে, প্লেনে উঠেছে কিংবা কখন নামানো হয়েছে, এসব দেখা যায়। চাইলে অ্যাপল এয়ার ট্যাগের মতো ডিভাইস দিয়েও ব্যাগ ট্র্যাক করতে পারেন।
- ভেতরের দিকেও তথ্য লিখে রাখুন: আপনার নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর লাগেজের ভেতরেও লিখে রাখুন। বাইরের ট্যাগ যদি হারিয়ে যায়, তাহলে এটি কাজে আসবে।
- শুধু হ্যান্ডব্যাগ নিন: হাতে নেওয়া ব্যাগ হারানোর ঝুঁকি থাকে না। কম সময়ের জন্য ভ্রমণ হলে লাগেজ না নিয়ে হ্যান্ডব্যাগেই সীমিত থাকুন।
বিমানবন্দরে প্রবেশের পর করণীয়
- সময়মতো লাগেজ চেকইন করুন: শেষ মুহূর্তে লাগেজ জমা দিলে সেটি ঠিকমতো প্লেনে না-ও উঠতে পারে। তাই আগেভাগে এসে লাগেজ চেকইন করুন।
- মূল্যবান জিনিস সঙ্গে রাখুন: গয়না, ল্যাপটপ, ক্যামেরা ইত্যাদি কখনোই লাগেজে না রেখে হ্যান্ডব্যাগে রাখুন।
- লাগেজ ট্যাগ চেক করুন: আপনার লাগেজের ট্যাগ সঠিক গন্তব্যে যাচ্ছে কি না, তা একবার ভালো করে দেখে নিন। ভুল জায়গায় চলে গেলে ফিরে পাওয়া কঠিন হতে পারে।
- লাগেজ ক্লেইম টিকিট সংরক্ষণ করুন: বিমানবন্দরে চেকইন করার সময় ক্লেইম টিকিট সংরক্ষণ করুন। লাগেজ হারালে বা খুঁজে না পেলে এই টিকিটই প্রমাণ হিসেবে দরকার হবে।
লাগেজ দেরিতে এলে কী করবেন
- অন্য ক্যারোজেল চেক করুন: কখনো কখনো লাগেজ ভুল করে অন্য বেল্টে চলে যেতে পারে। তাই যদি আপনি নিজের ব্যাগ নির্ধারিত বেল্টে না পান, তাহলে আশপাশের অন্য ক্যারোজেলগুলোও ভালো করে দেখুন।
- বিমান সংস্থাকে জানিয়ে দিন: লাগেজ দেরি করছে জানিয়ে রিপোর্ট লিখিয়ে নিন। অনেক সময় পরের ফ্লাইটেই সেটি আসতে পারে।
- যা কিছু কিনবেন, রসিদ রাখুন: নতুন জামাকাপড় অথবা টুথব্রাশ কিনলে এসবের রসিদগুলো জমিয়ে রাখুন। পরে ক্ষতিপূরণ চাইতে কাজে লাগবে।
লাগেজ হারিয়ে যায়, চুরি হয় বা ভেঙে যায়
- বিমান সংস্থার পলিসি দেখুন: প্রতিটি এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইটে ‘লস্ট অর ড্যামেজ ব্যাগেজ’ নামে একটি সেকশন থাকে। সেখানে কীভাবে রিপোর্ট করতে হয়, তা বিস্তারিত লেখা থাকে।
- অভিযোগ করুন: বিমান সংস্থা যদি সহায়তা না করে, তাহলে স্থানীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিয়ে অভিযোগ করুন।
ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স
ভিন্ন ভিন্ন ইনস্যুরেন্স পলিসিতে ব্যাগেজ ডিল ও ব্যাগেজ লস কভার করে। আপনার পলিসি বা ক্রেডিট কার্ড সুবিধা দেখে নিন।
সূত্র: সিএনএন