জেলা প্রশাসক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘অন্তত যদি ৮০ ভাগ চারাও বড় হয়ে ওঠে তাতেই আমাদের এ কর্মসূচি সফল হবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপস্থিত সুধীজনরা এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তারা মনে করছেন, পরিবেশ রক্ষায় একসঙ্গে এত গাছ লাগানোর উদ্যোগটি বেশ কাজে লাগবে। তবে গাছ বিতরণের পর যেন এর তদারকি করা হয়, সে বিষয়ে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
অনুষ্ঠান শেষে গাছের চারা দেখতে থাকা তাসিফ ও তৌসিফ নামে দুই শিক্ষার্থীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কথা টেনে নেয় সানিয়া ও তাইবা নামে দুই শিক্ষার্থী। সানিয়া ও তাইবা বলে, ‘গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। সরকারিভাবে গাছ পেলে আমরা যত্ন নেব। তাসিফ ও তৌসিফ মাথা নেড়ে এ কথায় সায় দেয়। তারা সবাই উপজেলার যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
কথা হয় চরচারতলা ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন মোল্লার সঙ্গে। এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘আমাদের মাদরাসার জন্যও গাছের চারা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উদ্যোগটি খুবই প্রশংসার দাবিদার। বিশেষ করে তালগাছ বিতরণ করায় বজ্রপাত নিরোধে বেশ কাজে লাগবে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শওকত আকবর খান বলেন, ‘মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কলেজের জন্য ৩০ হাজার এবং ৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ২৫ হাজার গাছের চারা দেওয়া হচ্ছে। কোন বিদ্যালয়েরর শিক্ষার্থীরা কী ধরনের গাছ পাবে সে অনুযায়ী তালিকা ধরে বিতরণ করা হচ্ছে। স্কাউটস সদস্যরা এ কাজে সহায়তা করছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্যামল চন্দ্র বসাক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বেশ কয়েকটি জেলা থেকে এসব গাছ সংগ্রহ করা হয়েছে। দুই দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে এসব গাছ পৌঁছে দেওয়া হবে।’ সবাই যেন গাছের যত্ন নেন সেই আহ্বান জানান তিনি।