শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন

লাক্ষাদ্বীপ যেন আরেক ‘মালদ্বীপ

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩

লাক্ষাদ্বীপের নাম শুনেছেন? দ্বীপপুঞ্জটি সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন, অথচ এটিকে মালদ্বীপের সঙ্গে তুলনা করা হয়। তাছাড়া এটি মালদ্বীপের খুব কাছেই অবস্থিত। আরব সাগরের এই দ্বীপটি মূলত ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। বেশিরভাগ মানুষের কাছে অচেনা বলে অনেকে একে ‘ভার্জিনদ্বীপ’ বলে থাকেন।

ভারতের কেরালা থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে লাক্ষাদ্বীপের অবস্থান। কাভারত্তি, কাডমট, কিলত্তন, কালপেনি, আগত্তি, আমিনি, আন্দ্রোত, চেট্টলাট, মিনিকয় এবং বিত্রা—দ্বীপগুলো নিয়েই লাক্ষাদ্বীপ।

লাক্ষাদ্বীপের বিশেষত্ব হচ্ছে আচ্ছাদিত আদিম সৌন্দর্যতা, ফিরোজা-নীলাভ জল এবং অদূষিত সমুদ্র সৈকত। এছাড়া প্রবাল প্রাচীর, সমুদ্রের রহস্যময় জগৎ আর এখানকার জীব-বৈচিত্র যদি আপনাকে আকৃষ্ট করে তাহলে দেখে আসতেই পারেন। শহুরে কলরব থেকে বহুদূরে অবস্থিত এই লাক্ষাদ্বীপে আপনি শুধু সমুদ্র সৈকতে আছড়ে পড়া তীব্র জল-তরঙ্গ এবং শঙ্খচিলের আর্তনাদের আওয়াজই শুনতে পাবেন।

দ্বীপপুঞ্জটিতে কিছু বিশেষ সুবিধাও রয়েছে; যেমন- স্কুবা ডাইভিং, স্নোরকেলিং, কায়াকিং, ক্যানোয়িং, উইন্ড সার্ফিং এবং ইয়াচটিং। এছাড়াও এই উপহ্রদগুলিতে নিরলসভাবে সময় কাটানো, বিভিন্ন পাখিদের পর্যবেক্ষণ এবং বাতাসের সুরে নারকেল গাছের দোল উপভোগ করার জন্য আদর্শ স্থান। এছাড়া ফিরোজা-নীলাভ জল আপনার বীচ ফটোগ্রাফিতে সাহায্য করবে।

যাওয়ার আগে কিছু তথ্য জানা দরকার

ভারতের ভিসা থাকলেই কিন্তু এই দ্বীপপুঞ্জে যাওয়া যায় না। কেরালার রাজধানী কচি থেকে বিশেষ অনুমতিপত্র নিতে হয়, যার জন্য অন্তত দুই দিন সময় লাগে। তাই লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণে আপনি কোথায় ঘুরবেন, থাকবেন এবং খাবেন—তার সঠিক পরিকল্পনা নিশ্চিত করুন।

লাক্ষাদ্বীপের রাজধানীর নাম কাভারাট্টি। দ্বীপপুঞ্জের একমাত্র বিমানবন্দরের নাম আগাট্টি (আগাট্টি একটি দ্বীপেরও নাম)। পুরো দ্বীপপুঞ্জে প্রায় ৬১ হাজার মানুষের বসবাস, যার মধ্যে ৯০ ভাগ শিক্ষিত! মহল, মালায়লাম, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষার ব্যবহার হয় এখানে। দ্বীপে সামুদ্রিক মাছ খুব সস্তা। অন্যান্য ফলের মধ্যে তরমুজ পাওয়া যায় সারা বছর। লাক্ষাদীপের তরমুজ সাইজে খুব ছোট এবং গোলাকার। এসব তরমুজের বাহিরের রঙ ঘন সবুজ আর ভেতরের অংশ পিংক হয়ে থাকে।

যেভাবে যাবেন

লাক্ষাদ্বীপে যেতে হলে আপনাকে জাহাজে বা বিমানে যেতে হবে। যাদের সমুদ্রে নানা সমস্যা হয় তাদের জন্য বিমানই ভালো। কেরালার রাজধানী কোচি (কোচিন্) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ এটি প্রায় ভারতের সব প্রধান শহরের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে।

বেশ কিছু যাত্রীবাহী জাহাজ কোচি (কোচিন্) থেকে লাক্ষাদ্বীপ পর্যন্ত চলাচল করে। এই দূরত্ব যেতে প্রায় ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা ভ্রমণ করতে হতে পারে। এই জাহাজগুলোতে বেশ আয়েশিভাবে থাকার ব্যবস্থা ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তবে বর্ষাকালে সময়ে জাহাজগুলো বন্ধ থাকে।

হোটেল-রিসোর্ট

দ্বীপপুঞ্জের বঙ্গারাম দ্বীপে বেশ কিছু উন্নতমানের রিসোর্ট ও হোটেল রয়েছে। এখানে আপনি প্রাকৃতিক উপকরণে নির্মিত এবং পরিবেশ-বান্ধব অনেক সুন্দর কটেজ দেখতে পাবেন। এছাড়াও আপনি কাভারত্তি ও অন্যান্য জায়গায় থাকার জন্য হোটেলও নিতে পারেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com