গ্রীস: ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে যুক্ত সব দেশের শিক্ষার্থীর জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতে গ্রিসে বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব প্যাট্রাস, ইন্টারন্যাশনাল হেলেনিক ইউনিভার্সিটি, এরিস্টটল ইউনিভার্সিটি, এথেন্স ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজনেসের মতো নামকরা গ্রিসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে টিউশন ফ্রিতে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
নরওয়ে: উত্তর ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়ার পশ্চিম অংশের একটি দেশ নরওয়ে। এদেশে স্টাডি স্তর বা জাতীয়তা নির্বিশেষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সব শিক্ষার্থীর জন্য বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে স্নাতক প্রোগ্রামগুলির সিংহভাগ কেবলমাত্র নরওয়েজিয়ান ভাষায় চালু থাকায় আন্তর্জাতিক স্তরের শিক্ষার্থীদের এই স্তরে অধ্যয়ন করার জন্য নরওয়েজিয়ান ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ প্রদর্শন করতে হবে।
জার্মানি: উত্তর সীমান্তে উত্তর সাগর ও বাল্টিক সাগরের মাঝখানে এবং দক্ষিণে আল্পস পর্বতমালার মাঝখানে জার্মানি অবস্থিত। দেশটি ইউরোপের অন্যতম প্রধান শিল্পোন্নত দেশ হওয়ায় অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অত্যন্ত শক্তিশালী। দেশটির সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভর্তুকি প্রদান করায় জার্মানির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে টিউশন ফি নেই। জাতীয়তা নির্বিশেষে এটি জার্মান শিক্ষার্থী এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
ফ্রান্স: বিদেশে বিনা খরচে পড়াশুনার জন্য ফ্রান্স বিশ্বের অন্যতম একটি জনপ্রিয় জায়গা। কেননা ফ্রান্স সরকার তাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে টিউশন ফি নেয় না। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা নিজ দেশ বা অন্য যেকোনো দেশেরই হোক না কেন। তবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের এদেশের ভাষা জানা থাকলে পার্টটাইম জব করে তারা সহজেই তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় চালাতে সক্ষম হবে।
কানাডা: জার্মানি বা নরওয়ের মতো এদেশটিতে সরকারিভাবে ফ্রিতে পড়ার সুযোগ না থাকলেও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কানাডার সেরা কিছু বৃত্তি রয়েছে। এর মাধ্যমে কোনো শিক্ষার্থী বিনামূল্যে কানাডায় পড়াশোনা করার সুযোগ পেতে পারে। টিউশন খরচ ছাড়াও একজন শিক্ষার্থীকে কানাডায় অধ্যয়ন করার জন্য অন্যান্য জীবনযাত্রার খরচ এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। তাই দেশটির সরকার পড়াশোনার পাশাপাশি কোনো শিক্ষার্থীকে কর্মজীবনের সুযোগও দেয়। নির্দিষ্ট সময় পার হলে নিজ পরিবারকেও কানাডায় নিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ রয়েছে দেশটিতে।