কাশ্মীর মানেই ভূস্বর্গ। প্রায় সব ভারতীয়দের মনে একবার না একবার তো কাশ্মীর যাওয়ার ইচ্ছা হয়েই থাকে। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণের মূল কারণ। এছাড়াও যারা গেছেন তাদের কথা অনুযায়ী কাশ্মীরের পরিবেশ যেরকম সুন্দর তার থেকেও সুন্দর সেখানকার মানুষদের আত্মীয়তা ও ব্যবহার। আপনারা হয়তো দেখে থাকবেন কাশ্মীরের মানুষেরা দেখতে খুবই সুন্দর হয়।
এমন নয় যে অন্য জায়গার মানুষেরা সুন্দর হয় না কিন্তু কাশ্মীরের মানুষদের মধ্যে একটা আলাদাই উজ্জলতা লক্ষ করা যায়। আপনারা কি জানেন এর কারণ? এক রিপোর্ট থেকে জানা যায় কাশ্মীরের মেয়েরা কোনো রকম কেমিক্যালের ব্যবহার করেনা। আর কোনো কারণে কেমিক্যালের ব্যবহার করতে হলেও তা খুবই কম মাত্রায় হয়ে থাকে। এই কারণে কেমিক্যাল এর ব্যবহার থেকে হওয়া কোনো রকমের স্কিন প্রবলেম তাদের হয় না।
তারা বেশিরভাগ সময়ই বাড়িতে বানানো রেমেডি দিয়েই নিজেদের রূপচর্চা করে থাকে। আপনারা তো বাদামের উপকারিতার কথা কম বেশি জানেনই। বাদাম যেমন আমাদের শরীরের পক্ষে ভালো, তেমনি বাদামের ব্যবহারের আমাদের ত্বকের অনেক উপকার হয়। কাশ্মীরে বাদাম খুব সস্তা তাই সেখানকার মানুষেরা বাদাম তাদের ত্বকেও ব্যবহার করে।
সারারাত বাদাম ভিজিয়ে রাখার পর, পরের দিন সকালে সেই বাদাম বেটে তার মধ্যে দুধ মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেললে ত্বকে কোনো রকমের দাগ হয় না। আর এক সপ্তাহ মতো ব্যবহার করলেই আপনি দেখতে পাবেন আপনার চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।এই রেমেডি কাশ্মীরের মেয়েরা ব্যবহার করে থাকে তাই তাদের মুখে এক আলাদাই জেল্লা দেখা যায়।
এছাড়াও কাশ্মীরে কেশর খুব সস্তা আর সহজলভ্য। তাই সেখানকার মানুষেরা কেশর যেমন খেতে পারে, তেমনি বিভিন্ন রকম ভাবে ত্বকেও ব্যবহার করতে পারে। কেশর আমাদের রক্তকে পরিশোধিত করতে সাহায্য করে। এর ফলে শরীরের মধ্যে কোন রকমের নোংরা জমা হতে পারেনা যে কারণে তার ছাপ আমাদের ত্বকেও আসে না। এই সব রেমিডির পাশাপাশি প্রাকৃতিক কারণেও তাদের ত্বক পরিষ্কার ও ফর্সা হয়ে থাকে।
অন্যান্য জায়গার তুলনায় পাহাড়ি এলাকা অনেকটাই ঠান্ডা হয়ে থাকে সেই কারণেই সেখানকার মানুষদের ত্বক অনেকটাই ফর্সা হয় আর সেখানে সূর্যের আলো সরাসরি ত্বকে প্রবেশ না করায় ত্বকের সেরকম ভাবে কোনও ক্ষতি হয় না। এই হোম রেমেডি গুলো ব্যবহার করে কাশ্মীরের মেয়েদের মতো উজ্জ্বলতা আপনিও আনতে পারেন নিজেদের ত্বকে। কেমন লাগলো এই তথ্যগুলো আপনাদের জেনে আমাদের জানান।