পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ার বহুদিনের রীতি এটি। সেখানে বিয়ে-বিচ্ছেদ মানেই উৎসবের, অনেকেই বিয়ে করেন ৫-১০ বার। দেশটিতে ‘অপ্রীতিকর ও অস্বাস্থ্যকর’ বাস্তবতায় সংসার চালিয়ে নেওয়ার নজির খুবই কম। সে দেশের দম্পতিরা এমন ক্ষেত্রে একে অপরকে মুক্তি দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সই করেন ডিভোর্স পেপারে।
তবে মৌরিতানিয়াতে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে কেউ ছিঃছিঃ করে না, লজ্জা দেয় না বা থাকে না দুঃখের আবহ। বরং সেখানে ডিভোর্স মানেই আনন্দ-উৎসব। সে দেশে কোনো নারীর ডিভোর্স হলে কান্নার রোল ওঠে না। অপমানিতও হতে হয় না। ‘ডিভোর্স পার্টি’ উদযাপন করে জানানো হয়, এই নারী এখন চাইলেই অন্য কাউকে বিবাহ করতে পারেন।
দেশটিতে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই রীতি চলে এসেছে। ডিভোর্স পার্টিতে এসে নারীরা একসঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া করেন, গান করেন, নাচেন। বর্তমানে এই পার্টির ধরন কিছুটা বদলালেও আমেজ রয়েছে প্রায় আগের মতোই।
প্রায় শতভাগ মুসলমানের দেশ মৌরিতানিয়ায় প্রায়ই ডিভোর্সের ঘটনা ঘটে। অনেক মানুষের জীবনে বিয়ে আসে ৫ থেকে ১০ বার। কারও কারও জীবনে ২০ বারও বিয়ের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, মৌররা পূর্বসূরিদের কাছ থেকে পেয়েছেন শক্তিশালী ‘মাতৃতান্ত্রিক প্রবণতা’। মৌরিতানিয়ায় ডিভোর্স এতটা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে ওঠার এটি একটি কারণ বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানীরা।