যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেদিন থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, দুই-ই পাবেন।
আগামী ১৭ জানুয়ারি ইলেকটোরাল কলেজের প্রতিনিধিরা, যাদের বলা হয় ইলেকটর, তারা একসঙ্গে বসে তাদের ভোট দেবেন।
সাধারণত যে অঙ্গরাজ্যে যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পান, নিয়ম অনুযায়ী সেই প্রার্থীর পক্ষেই ওই রাজ্যের সবগুলো ইলেকটোরাল ভোট দেয়া হয়। যদিও কখনো কখনো এর ব্যতিক্রমও দেখা গেছে। তেমনটা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও নজির রয়েছে।
আগামী ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে সিনেটে আনুষ্ঠানিকভাবে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট গণনা করা হবে। সেই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী কমালা হ্যারিস।
ভোট গণনা শেষে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ঘোষণা করবেন।
২০২০ সালে ট্রাম্প সমর্থকরা এ প্রক্রিয়াটি বন্ধের চেষ্টা করেছিলেন। সিনেটের সেই ভোট গণনার সময়েই উত্তেজিত জনতা ক্যাপিটল হিলে হামলা করেছিল। কারণ ট্রাম্প জো বাইডেনের কাছে পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকার করেছিলেন।
সেই অনুষ্ঠানে ভোট গণনা পাঠ করছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।
নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগ পর্যন্ত সময়কে বলা হয় ‘রূপান্তরকালীন সময়’। ওই সময়ের মধ্যে নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বাছাই করেন এবং পরিকল্পনা তৈরি করে থাকেন। ট্রাম্পও সেটিই করবেন বলে জানা যাচ্ছে।