দেশটির হোম অফিস বেশ কয়েক লাখ অভিবাসীকে কাগজের পরিচয়পত্রের পরিবর্তে অনলাইনে তাদের তথ্য সংরক্ষণ করছে৷ অনলাইন এই নথি ব্যবহার করে ভ্রমণের পাশাপাশি, কাজ করা এবং বাড়ি ভাড়া নেয়া যাবে৷
তবে এই ব্যবস্থায় বেশ কিছু কারিগরি সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ ফলে হোম অফিস যাতে আপাতত অনলাইন সিস্টেমের পাশাপাশি কাগজের নথিও চালু রাখে সেই আর্জি উচ্চ আদালতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে৷
হোম অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ চল্লিশ লাখের মধ্যে ৩২ লাখ মানুষ ই-ভিসার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন৷ জানুয়ারিতে এক লাখের মতো নিবন্ধিত হয়েছেন৷
হোম অফিস জানিয়েছে যে চলতি বছর এক লাখের মতো ভিসার মেয়াদ শেষও হয়ে গেছে, যারা মূলত শিক্ষার্থী এবং এটা নিশ্চিত নয় যে তারা সবাই যুক্তরাজ্য ছেড়ে চলে গেছেন নাকি অন্য কোনো ভিসার জন্য আবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন৷ এর অর্থ হচ্ছে এক জুনের সময়সীমার মধ্যে সাত লাখের মতো অভিবাসীর ই-ভিসার নিবন্ধন সম্পন্ন নাও হতে পারে৷
বিভিন্ন আইনজীবী, সংবাদমাধ্যম এবং ওকালতি গোষ্ঠী অসংখ্য অভিযোগ পেয়েছেন যে ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে গিয়ে কারিগরি সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ৷ অনেকক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যে ফেরার সময় অনেকে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন কারণ তাদের ই-ভিসা গ্রহণযোগ্য হয়নি বা বিমানবন্দরের কর্মীরা সেটি অনলাইনে যাচাই করতে পারেননি৷
ইতোমধ্যে হোম অফিস ই-ভিসার জন্য নিবন্ধনের মেয়াদ দুইবার বাড়িয়েছে৷ একাধিকবার কারিগরি সমস্যার কথাও স্বীকার করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা৷
দ্য গার্ডিয়ান