সোমবার প্রকাশিত উপাত্ত অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ইংল্যান্ড ওয়েলসের জনসংখ্যায় নতুন ছয় লাখ ১০ হাজার মানুষ যুক্ত হয়েছেন৷ এতে মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় কোটি নয় লাখে৷
তবে এই জনসংখ্যায় ‘প্রাকৃতিকভাবে’, অর্থাৎ জন্ম ও মৃত্যুর ব্যবধানের কারণে যুক্ত হয়েছেন মাত্র ৪০০ জন৷ অথচ ১২ মাসে অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ছয় লাখ ২২ হাজার৷ তার আগের বছর অভিবাসীর সংখ্যা ছিল সাড়ে পাঁচ লাখের মতো৷
এছাড়া ইংল্যান্ড ও ওয়েলেস থেকে স্কটল্যান্ড ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে গিয়েছেন ১৩ হাজার ৮০০ জন৷
ব্রিটিশ পরিসংখ্যান দপ্তর বলছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৮ সালে অসংখ্য শিশু জন্ম নেয়ায় এবং যুদ্ধফেরত ব্রিটিশ মিলিটারি সদস্যদের কারণে তখন জনসংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ বেড়ে যায়৷ এরপর এ যাবৎকালের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বৃদ্ধি হলো গত বছর৷
তবে জনসংখ্যার অনুপাতে অর্থনীতি বড় হয়নি৷ ২০২৩ সালে মাথাপিছু জিডিপির ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ০.৭%৷
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাবার একটি অন্যতম কারণ ছিল অভিবাসন কমানো, যা আদতে কাজ করেনি বলেই উপাত্ত বলছে৷
ব্রিটেনের সদ্য বিদায়ী কনজারভেটিভ সরকারের লক্ষ্য ছিল অভিবাসন হ্রাস করা৷ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লেবার পার্টির কেইর স্টারমারও বলেছেন, তিনি বিদেশি শ্রমিকদের ওপর অর্থনীতির নির্ভরশীলতা কমাবেন৷
ব্রেক্সিটের পর ভিসা নিয়মে পরিবর্তনের কারণে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যে অভিবাসন কমেছে৷ তবে নতুন ওয়ার্ক ভিসার কারণে ভারত, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তান থেকে অভিবাসন বেড়েছে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও সেবা খাতে৷
গত বছরের শেষে সরকার অল্প বেতনের সমাজসেবা কর্মীদের জন্য বাইরে থেকে নিজেদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে আনার ব্যাপারে কড়াকড়ি করেছে৷