সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ অপরাহ্ন

মেঘেদের দেশ রামধুরা

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩

মেঘের দেশে যদি বাসা বাঁধতে চান, মেঘের বাড়িতে যদি থাকতে চান তবে চলে আসুন রমধুরা। শরীর জুড়ে বইবে শান্তির ধারা। খালিং হোমস্টে যেনো সেই মেঘের বাড়ি। এর ব্যালকনিতে বসে থাকলে পাশের মানুষটিকেও অচেনা লাগবে। চেনা লাগবে শুধু আপনার দিকে তাকিয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। এই রূপের ভাগ কাউকে দিতে ইচ্ছা করবে না। এখনকার খাবার ভীষণ লোভনীয়। তবে ঠান্ডার দাপট খুব। পায়ে হেঁটে গ্রামের পথ ধরে হাঁটুন। হারিয়ে যাবেন ঘন কুয়াশার গভীরে।

বহু নিচে ঘুমিয়ে রয়েছে তিস্তা, নীল পাহাড়ের ঢেউ। চারিদিকে ফুল আর ফুল। অর্কিড ঘরে ঘরে ফুটে থাকে। পাহাড়ের ধাপে ধাপে চাষ হচ্ছে, কপি, আলু, ধান, গাজর, মুলো আরও কত কি! চাষবাস এখানকার মানুষের রোজগার। নীল পাহাড়ের নীরবতা দেখবেন। সারাদিন ধরে রঙের খেলা দেখাবে। রাত্রে পেডং, দার্জিলিং আর কালিম্পং এর আলোর মেলা দেখা যায়। তবে আর দেরি না করে বেরিয়ে পড়ুন মেঘের বাড়ির ঠিকানায়।

আকাশ ভরা সূর্য্য তারা, ‘জলসা বাংলো’

রমধুরার খুব কাছেই এই মনোরম জায়গা। সূর্য ডোবার দেশ জলসা বাংলো। ১৯২০ সালে এই বাংলো তৈরি হয়। দার্জিলিং ৭০ কিলোমিটার,কালিম্পং ২৫ কিলোমিটার, গ্যাংটক, ৫৫ কিলোমিটার, আর আছে সামনা সামনি , ইচ্ছেগাওঁ , সেলারিগাঁও, রমধুরা, পেডং। কুয়াশার চাদরে মোড়ানো তিস্তার ছবি দেখতে চলে আসুন।

মেঘের দেশে

মেঘের দেশে

কাঞ্চনজঙ্ঘার নিঃশ্বাস গায়ে মাখতে চলুন জলসা বাংলো। জায়গার নাম মুনসং বা মানসং। জলসা বাংলো পাঁচ হাজার ফুট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে আছে। বিশাল জায়গা জুড়ে এই বাংলো। গাড়ি ভিতরে যাবার অনুমতি চাই। গেট থেকে প্রায় পাঁচশো মিটার হেঁটে এই বাংলো যেতে হয়। গভীর জঙ্গল, শুরু রাস্তা, এক দিকে খাদ আর একদিকে বহু প্রাচীন সব গাছ। সিঙ্কোনা গাছের মেলা। বাংলোর বিশাল উঠোনে বেঞ্চ পাতা আছে এখানে বসে কাঞ্চনজঙ্ঘার আরও নিবিড় হওয়া যায়। বিকেলে দেখতে পাবেন সূর্য ডোবার অপূর্ব দৃশ্য। লাল একটা আগুনের গলা ধীরে ধীরে পাহাড়ের গায়ে নিভে যাচ্ছে। কাঞ্চনজঙ্ঘার ছোঁয়ায় এর তেজ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। মনে হবে, সূর্যের শয্যা হিমালয়ের কোলে রাখা আছে।

একেবারে নির্জনে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে পেতে চাইলে চলে আসুন স্বর্গ থেকে খসে পড়া একটুকরো জমিতে। রাতে হাজার হাজার তারা মাথার উপর ফুটে থাকে। কালিম্পঙের ব্যালকনি বলা যায় এই জলসা বাংলোর লনটাকে। সামনে বহু নিচে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি নদী। একটা রুপোর হাঁসুলীর মতো মনে হবে। তিন হাজার ফুট নিচ অবধি গভীর খাদ নেমে গেছে। চাঁদের আলোয় দেখা যায় শুধু নীল কুয়াশায় ঢাকা পাহাড়ের ঢেউ। চাঁদটাকে হাতের তালুতে নিতে পারা যায় যেন। জলসা বাংলোতে রাত জাগা মানে স্বপ্নকে খোলা চোখে দেখা।

মেঘের দেশে

কীভাবে পৌঁছবেন রামধুরায়

সিলারি গাঁও, ইচ্ছে গাঁও, জলসা বাংলো, খুবই সামনে। পূর্ব সিকিমের গা ঘেঁষে এই আকাশি গ্রাম। মন কাড়া রূপ এই রামধুরা গ্রাম, এত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন যে এই ছোট্ট গ্রামটা যা এককথায় অসামান্য। সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার ফুট উপরে রামধুরার আকাশি গ্রাম। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ৮৬ কিমি আর কালিম্পং থেকে ১৪ কিমি দূরে রামধুরা। এখান থেকে কালিম্পং- এর সাইট সিন করা যায়। ডেলো, কাককটাস হাউস, টেগোর হাউস ৬ কিমি এর মধ্যে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com