বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আওয়ামী পলাতকদের পাচার করা শত কোটি টাকার খোঁজে ভারতে ইডির ১৭ স্থানে অভিযান দুবাইতে প্রথম আকাশযান ভের্টিপোর্ট শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল ১৫ বছর পরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছে জাপানের ৬ প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়ায় ১০ লাখ শ্রমিক প্রয়োজন লিথুয়ানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: ৩৫০টির বেশি প্রোগ্রামে পড়াশোনা, স্কলারশিপের সুবিধা ফিটস এয়ারে বড় ছাড়, ২৮ হাজারে শ্রীলঙ্কার রিটার্ন ফ্লাইট সাধ্যের মধ্যে আন্দামান : যে কথা বলে না কেউ ক্রোয়েশিয়ায় কাজ করার জন্য ভ্রমণ বা স্থায়ী বসবাসের সুযোগ অনেকের কাছে আকর্ষণীয় আইইএলটিএস ছাড়াই স্কলারশিপে মাস্টার্স-পিএইচডি চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে শাওনকে কিভাবে প্রেম নিবেদন করেছিলেন হুমায়ূন

মেঘ বাড়ি রিসোর্ট, গাজীপুর

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩

শহরের কাছেই এ যেনো এক শান্তির নীড়। মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে মেঘ বাড়ি রিসোর্ট গাজীপুর। গাজীপুরের কালীগঞ্জের উলুখোলায় এই রিসোর্টটি নির্মাণ করা হয়েছে। পরিবার নিয়ে অবসর কিংবা ছুটির দিন কাটাতে বেশ ভালো একটি পছন্দ হতে পারে এই রিসোর্টটি।

বিনোদনের সাথে সাথে থাকার ব্যবস্থাও আছে রিসোর্টটিতে। পরিবারের সাথে আনন্দঘন সময় কাটাতে ঘুরে আসতে পারেন এই রিসোর্ট থেকে। আবার চাইলে শুধু একদিনেও ঘু্রে আসা যায় এই স্থান থেকে। চলুন দেখে নেই এখানে কী কী আছে পর্যটকদের জন্য?

যা যা রয়েছে বিনোদনের জন্য :

  • সুইমিংপুল : এই রিসোর্টটিতে আছে একটি সুইমিংপুল। যারা শুধু রিসোর্টে থাকবেন তারাই নন, বরং যারা দিনে গিয়ে দিনে ঘুরে আসতে চান তারাও সুইমিংপুল ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
  • পার্ক : শিশুদের খেলার জন্য আছে সুন্দর পার্কের ব্যবস্থা। কিছু প্রতিকী পশু ও নির্মাণ করা হয়েছে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। শুধু শিশুরা নয় চাইলে সবাই পার্কের দোলনায় দোল খেতে পারবেন।
  • কনভেনশন সেন্টার : বিয়ের অনুষ্ঠান, জন্মদিন কিংবা যেকোনো আয়োজনের জন্য আছে একটি কনভেনশন সেন্টার।
  • বর্ষাকালে নৌকা ভ্রমণ : বর্ষাকালে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ নিতে তার ব্যবস্থাও করা আছে এই রিসোর্টটিতে। যারা নৌকায় চড়তে ভালোবাসেন তাদের জন্য এটি অনেক আকর্ষনীয়।
  • বারবিকিউ : বর্তমানে বারবিকিউ আমাদের কাছে খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ঘুরতে গেলে সন্ধ্যার দিকে বারবিকিউ-এর এক আলাদা আনন্দ আছে। তাই সেই দিকটা চিন্তা করে এই মেঘ বাড়ি রিসোর্টেও করা হয়েছে বারবিকিউ করার সুযোগ।
  • ক্যান্টিন : অতিথিদের জন্য আছে খাবার ক্যান্টিন। বাইরের খাবার নেয়ার কিছুটা নিষেধাজ্ঞা আছে রিসোর্টে, তাই পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে পার্কেই ব্যবস্থা করা হয়েছে খাবার ক্যান্টিনের।
  • এছাড়াও পার্কটি সাজানো হয়েছে বেশ সুন্দর করে। সবুজ গাছপালা, লতায় মোড়ানো ছোট ছোট গেট, বাহারি পাতা বাহারের গাছ ইত্যাদি দিয়ে বেশ সুনিপুনভাবে সাজানো হয়েছে রিসোর্টটিকে। এখানে আপনি রেইন ফরেস্ট এর আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।রুম ভাড়া :এই রিসোর্টে আছে বেশ কয়েক রকমের কটেজ। সুবিধা অনুযায়ী আছে ভাড়ার পার্থক্য। আবার প্রয়োজনে ভাড়া নেয়া যাবে পুরো রিসোর্ট ।

ডিলাক্স রুম :

  • ভাড়া : ৬,০০০ টাকা প্রতি রাতের জন্য।
  • প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাক্তি ৩ জন এবং শিশু ১ জন থাকতে পারবে।

স্ট্যান্ডার্ড রুম :

  • ভাড়া :৩,০০০ টাকা প্রতি রাতের জন্য।
  • প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাক্তি ২জন এবং শিশু ১ জন থাকতে পারবে।

ডে আউট রুম :

  • ভাড়া : ৪,০০০ টাকা।
  • সর্বোচ্চ ১০ জন থাকতে পারবে একটি রুমে।
  • চেক ইন : দুপুর ১২টা; চেক আউট : সন্ধ্যা ৬টা

নাইট স্টে কটেজ রুম :

  • ভাড়া : ৬,০০০ টাকা
  • চেক ইন : রাত ১২টা; চেক আউট : সকাল ১১টা
  • সর্বোচ্চ ৩ জন থাকা যাবে।
  • ২ জনের জন্য ১ বার সুইমিংপুল ও  ব্রেক ফাস্টের ব্যবস্থা।

নন এসি রুম : 

নাইট স্টে : ভাড়া : ৩,০০০ টাকা

ডে স্টে : ভাড়া : ২,০০০ টাকা

এছাড়াও :

  • এন্ট্রি ফি : ১০০ টাকা
  • সুইমিংপুল এন্ট্রি : ৩০০ টাকা
  • সাধারণের জন্য পরিদর্শন সময় : সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৬টা।

যারা রুমে থাকবেন/রিসোর্টে থাকবেন :

  • রাতে যারা থাকবেন তাদের জন্য ১ বার দুই জনের সুইমিংপুল এন্ট্রি ফ্রি।
  • যারা রাতে থাকবেন তাদের জন্য সুইমিংপুলের শেষ সময় রাত ৯ টা।
  • সকালের নাস্তা সময় : সকাল ৮-১০ টা
  • রাতের খাবারের শেষ সময়-১০ টা

ডাইনিং :

ব্রেকফাস্ট : পরটা/ লুচি, ডাল চিকেন কারি, ডিম ভাজি, চা/ কফি, খাবার পানি।

লাঞ্চ : সাদা ভাত, সবজি, ভর্তা, চিকেন ফ্রাই, চিকেন রোস্ট, গরুর মাংস ভুনা, ডাল মাখনি, নুডলস, মিষ্টান্ন, কোমল পানীয়, খাবার পানি।

বিকালের নাস্তাঃ ভাপা পিঠা, পাকোড়া/ রেশমি জিলাপী, চটপটি, ফুচকা, সিঙ্গারা/ সমুচা, চা/কফি, খাবার পানি।

কিভাবে যাবেন :

  • ঢাকা থেকে ৩০ মিনিটের পথ এটি। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পাশ দিয়ে পুর্বাচলের ৩০০ ফিটের রাস্তা যা গাজীপুর-সিলেট ডাইভেশন রোডে উঠে। এই রাস্তার বাম দিক ধরে আগালে উলুখোলা ব্রিজ, এই ব্রিজের বাম দিক দিয়ে ৫ মিনিটের পথ।
  • উত্তরা থেকে যেতে লাগবে ২০ মিনিট। উত্তরা থেকে আব্দুল্লাহপুর বেরী বাঁধের রাস্তায় আটি পাড়া পার হয়ে তেরমূখ ব্রিজের পরেই নগরভেলা গ্রাম।
  • টংগী রেলস্টেশনের মীরের বাজার, সেখান থেকে উলখোলা ব্রিজ পার করে যেতে হবে ডান দিকের ঢালু পথে। সময় লাগে ৩০ মিনিটের মতো।

যোগাযোগ :

মেঘবাড়ি রিসোর্ট

নগরভেলা গ্রাম, উলুখোলা, গাজীপুর

মোবাইল :

+৮৮০১৭১৩-২৬৫৮৬৯

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com