হাজার হাজার বছরের ইতিহাস-সভ্যতার দেশ মিসর। ঐতিহাসিক নীলনদ, পিরামিড, ফারাউ, আলেকজান্ডারের স্মৃতি, অনেক শাসন-ক্ষমতার প্রাণ কেন্দ্র। আফ্রিকার এই দেশটি পৃথিবীর বুকের একখণ্ড প্রাণকাড়া ভূমি। ভ্রমণপিয়াসু মানুষের মিলনস্থল। ভ্রমণের জন্য দেশটির পর্যটন স্থান অগনিত।
মিসরের ইতিহাস শুরু হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব ৬ হাজার বছরেরও আগে। প্রায় ৯ কোটি জনসংখ্যা। মুসলিম প্রধান এই দেশটির প্রধান ভাষা আরবি। মুদ্রার নাম পাউন্ড। মিশরের ১ পাউন্ডে বাংলাদেশের ৫টাকা। দেশটির যোগাযোগ ব্যবস্থা, সমাজ-সংস্কৃতি সর্বত্র দুর্দান্ত ঐতিহ্যের ছাপ। কে না চায় মিশর ভ্রমণ করতে!
সাধারণত করোনা মহামারির কারণে কয়েক মাস দেশটির ভ্রমণ ভিসা বন্ধ থাকলেও পরে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। যে কেউ চাইলে কিছু নিয়ম মেনে মিসর ভ্রমণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে ভ্রমণ ভিসা করা জরুরি। কীভাবে করতে হবে ভ্রমণ ভিসা? মিসরের ভ্রমণ ভিসা সংগ্রহ করা যায় ঢাকায় অবস্থিত দূতাবাস থেকে। গুলশান-২ এভিনিউ এলাকার ৯০ নম্বর রোডের শেষ মাথায় রাস্তার উত্তর পাশে অবস্থিত মিসরের দূতাবাস।
কী কী কাগজপত্র লাগবে
* আবেদনকারীর স্বাক্ষরসহ যথাযথ পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফরম।
* সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (অন্তত ৬ মাসের মধ্যে তোলা)
* কমপক্ষে ৩ মাসের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট
*ভ্রমণপথ বা বিমানের টিকিটের কপি
* বসবাসের জন্য রেসিডেন্স কার্ডের ফটোকপি
* পুরোনো মূল পাসপোর্ট (যদি থাকে)
* কমপক্ষে ৩ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
ভিসার জন্য ব্যক্তিগতভাবে সরাসরি বা ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে। ভিসা প্রক্রিয়াকরণে ৭-১০ কর্ম দিবস সময় লাগতে পারে। ভিসা পাসপোর্টের সাথে লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভিসার মেয়াদ হবে এর অনুমোদনের তারিখ হতে ৬ মাস পর্যন্ত।
ভিসা আবেদন জমাদান ও গ্রহণের সময়
সোমবার থেকে বুধবার- সকাল ১০ টা থেকে ১১ পর্যন্ত জমা দেওয়া যায়। আর সোমবার থেকে বুধবার বিকেল ৩টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হয় (কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলে)।
ভিসা ফি কত
বিভিন্ন রকম ভিসা যেমন সিঙ্গেল এন্ট্রি বা একবার ভ্রমণের জন্য ১,৯০০ টাকা, মাল্টিপল এন্ট্রি বা একাধিকবার ভ্রমণের জন্য ২ হাজার ৮০০ টাকা , একজেম্পটেড ৮০০ টাকা, লিগালাইজেশন ৪ হাজার ১০০ টাকা, স্বাক্ষর ১ হাজার ৭০০, অনুবাদ সংক্রান্ত ১ হাজার ৯০০ টাকা।