ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে ভারতের মুম্বাইগামী এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের নিয়মিত ফ্লাইটটি (ফ্লাইট নম্বর IX 442) অসাধারণ যাত্রায় পরিণত হয়—৩০ হাজার ফুট ওপরে মাঝ আকাশেই এক নারী যাত্রী জন্ম দেন একটি সুস্থ-সবল শিশুর।
থাইল্যান্ডের নারী ওই নারী হঠাৎ করেই প্রসববেদনা অনুভব করলে ফ্লাইট ক্রুরা দ্রুত ব্যবস্থা নেন। সৌভাগ্যক্রমে বিমানে থাকা এক যাত্রী, যিনি পেশায় একজন নার্স, কেবিন ক্রুদের সঙ্গে মিলে দক্ষতার সঙ্গে প্রসব করান।
পুরো ঘটনাটি ঘটে খুবই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে।
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মেডিকেল ইমারজেন্সি ঘোষণা করে কেবিন ক্রুরা তাদের প্রশিক্ষণের আলোকে জন্মের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করেন।
এদিকে, পাইলট মুম্বাই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে বিষয়টি জানান এবং দ্রুত অবতরণের অনুমতি নেন।
ফ্লাইটটি মুম্বাই পৌঁছানোর পরপরই আগে থেকেই প্রস্তুত থাকা মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স মা ও নবজাতককে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একজন প্রতিনিধি ছিলেন, যিনি অতিরিক্ত সহায়তা করেন।
ঘটনাটি ফ্লাইটের সব যাত্রীদের জন্য এক স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকে—মাঝ আকাশেই যেন এক নতুন জীবনের সূচনা।
মা এবং শিশুর নাম গোপনীয়তা রক্ষার জন্য অপ্রকাশিত থাকলেও, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস নিশ্চিত করেছে যে মা ও নবজাতকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তাদের পরবর্তী ভ্রমণ ব্যবস্থায় সহায়তা করার জন্য মুম্বাইতে থাইল্যান্ডের কনস্যুলেট জেনারেলের সাথে সমন্বয় করছে।
২০২০ সালের একই রকমের গল্পে, দোহা থেকে আসা কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমানে একজন থাই মহিলা আকাশে একটি ছেলের জন্ম দেন, যা কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছিল।