মারমেইড বিচ রিসোর্ট হল কক্সবাজারের একটি জনপ্রিয় রিসোর্ট। এটি সমুদ্র সৈকতের পাশে অবস্থিত এবং বাংলা উপসাগরের চমৎকার দৃশ্য দেখায়। রিসোর্টে বিভিন্ন ধরণের কক্ষ এবং স্যুট রয়েছে, সেইসাথে একটি সুইমিং পুল, একটি স্পা, এবং বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ।
আরও পড়ুনঃ কক্সবাজার হোটেল ভাড়া ও হোটেলের তালিকা সমুহ
মারমেইড বিচ রিসোর্টে অতিথিরা বিভিন্ন ধরণের কার্যকলাপ উপভোগ করতে পারেন। রিসোর্টে একটি ব্যক্তিগত সমুদ্র সৈকত রয়েছে যেখানে অতিথিরা সাঁতার কাটতে, সূর্যস্নান করতে বা জেট স্কিইং এবং প্যারাসেইলিংয়ের মতো জল ক্রীড়া উপভোগ করতে পারেন।
রিসোর্টে একটি ওয়ার্কআউট রুম, একটি টেনিস কোর্ট এবং একটি বাস্কেটবল কোর্টও রয়েছে। বাচ্চাদের জন্য, একটি প্লেগ্রাউন্ড এবং একটি কিডস ক্লাব রয়েছে।
মারমেইড বিচ রিসোর্টে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে যা বিভিন্ন ধরণের খাবার পরিবেশন করে। রিসোর্টে একটি আন্তর্জাতিক রেস্তোরাঁ, একটি ইতালীয় রেস্তোরাঁ এবং একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁ রয়েছে। একটি সুশি বার এবং একটি পুল বারও রয়েছে।
মারমেইড বিচ রিসোর্ট পরিবার, দম্পতি এবং একক ভ্রমণকারীদের জন্য একটি দুর্দান্ত পছন্দ। রিসোর্ট এমন একটি জায়গায় অবস্থিত যা শিথিল এবং উপভোগ করার জন্য নিখুঁত।
কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে সিএনজি বা অটোরিকশায় চড়ে রেজু ব্রিজের কাছে অবস্থিত মারমেইড বিচ রিসোর্টে যেতে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা ভাড়া লাগে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার সড়ক, রেল এবং আকাশপথে যাওয়া যায়।
ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী বাসগুলোর মধ্যে সৌদিয়া, এস আলম মার্সিডিজ বেঞ্জ, গ্রিন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, এস.আলম পরিবহন, মডার্ন লাইন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। শ্রেণী ভেদে বাসগুলোর প্রতি সীটের ভাড়া ৯০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকার পর্যন্ত।
ঢাকা থেকে ট্রেনে সরাসরি কক্সবাজার ভ্রমণ করতে চাইলে কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলস্টেশান হতে কক্সবাজার এক্সপ্রেস অথবা পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা করতে পারেন।
এছাড়া ঢাকা থেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার আসতে চাইলে কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলস্টেশান হতে সোনার বাংলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, তূর্ণা-নিশীথা, মহানগর প্রভাতী/গোধূলী ট্রেনে সুবিধানুযায়ী যাত্রা করতে পারেন।
এরপর চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকা, অলংকার মোড়, সিনেমা প্যালেস অথবা ধামপাড়া বাস্ট স্ট্যান্ড থেকে এস আলম, হানিফ অথবা ইউনিক পরিবহনের বাসে কক্সবাজার আসতে পারবেন। বাস ভেদে ভাড়া ৩৫০ থেকে ৮০০ টাকা নিবে।
বাংলাদেশ বিমান, নভোএয়ার এবং ইউএস বাংলা ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।
কোন উপায়টি আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে তা নির্ভর করে আপনার বাজেট এবং সময়সীমার উপর।
মারমেইড রিসোর্টে থাকার খরচ আপনি যে ধরনের রুম বা স্যুট বেছে নেন তার উপর নির্ভর করে। বলে রাখা ভাল, ১ কিলোমিটার দূরত্বে একই মালিকানায় মারমেইড বিচ রিসোর্ট এবং মারমেইড ইকো রিসোর্ট নামে দুইটি রিসোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। রিসোর্টে বিভিন্ন ধরণের রুম এবং স্যুট রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে-
এই রুমগুলি প্রায় 400 বর্গফুট এবং একটি রাজা-আকারের বিছানা বা দুটি টুইন বিছানা রয়েছে। এগুলি একটি ব্যক্তিগত বাগান বা বারান্দা এবং সমুদ্রের আংশিক দৃশ্য সহ। ডিলক্স রুমের রাতের ভাড়া শুরু হয় ৳4,000 থেকে।
এই রুমগুলি প্রায় 500 বর্গফুট এবং একটি রাজা-আকারের বিছানা বা দুটি টুইন বিছানা রয়েছে। এগুলি একটি ব্যক্তিগত বাগান বা বারান্দা এবং সমুদ্রের পূর্ণ দৃশ্য সহ। প্রিমিয়ার রুমের রাতের ভাড়া শুরু হয় ৳6,000 থেকে।
এই স্যুটগুলি প্রায় 700 বর্গফুট এবং একটি রাজা-আকারের বিছানা, একটি আলাদা বসার ঘর এবং একটি ব্যক্তিগত বারান্দা সহ। এগুলি সমুদ্রের পূর্ণ দৃশ্য সহ। স্যুটের রাতের ভাড়া শুরু হয় ৳10,000 থেকে।
মারমেইড রিসোর্টে থাকার খরচে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
মারমেইড রিসোর্টে একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে যেখানে বাংলা এবং আন্তর্জাতিক খাবার পরিবেশন করা হয়। রেস্তোরাঁটি সমুদ্রের তীরে অবস্থিত এবং এর একটি সুন্দর বারান্দা রয়েছে যেখানে অতিথিরা তাদের খাবার উপভোগ করতে পারেন।
রেস্তোরাঁর মেনুতে নিম্নলিখিতগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
বাংলা খাবার: ভাত, মাছ, মাংস, শাকসবজি এবং ডাল।
আন্তর্জাতিক খাবার: পাস্তা, পিজ্জা, বার্গার এবং স্যান্ডউইচ।
রেস্তোরাঁতে একটি ডেজার্ট মেনুও রয়েছে যেখানে কেক, পাই এবং আইসক্রিম রয়েছে।