মার্টিন কুপার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার। ওয়ারলেস কমিউনিকেশন টেকনোলজিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি অগ্রগামীর মত ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭৩ সালের সময়ে মোবাইল ফোন নিয়ে তিনি দুর্দান্ত কাজ করে দেখিয়েছেন।
সম্প্রতি মার্টিন কুপার জানান যে, আমরা বর্তমানে মোবাইল ফোন হাতিয়ার নিয়ে ব্যবহার করলেও ভবিষ্যতে তা বৈচিত্রময় ডিভাইস হিসেবে আমাদের ত্বকের নিচে সংযুক্ত থাকবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় মিডিয়া চ্যানেল সিএনবিসিকে এক ইন্টারভিউ দেন মার্টিন কুপার। তিনি বলেন যে, বর্তমানে স্মার্টফোন আলাদাভাবে চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু ভবিষ্যতে এমন প্রযুক্তি আসবে যে এমনটির আর প্রয়োজন হবে না। মানুষের শরীর থেকে এই ডিভাইস চার্জ নিতে পারবে। মানুষের কানের নিচে ফোনের ডিভাইস যুক্ত থাকবে এরকম প্রযুক্তি ফিউচারে আসতে যাচ্ছে।
মানুষের শরীরকে একটি চার্জিং ডিভাইসের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। আমাদের শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয়ে থাকে। এ শক্তির মাধ্যমে ডিভাইসকে চার্জ করে ফেলা সম্ভব। বিজ্ঞানীরা এ কৌশলকে ভবিষ্যতে ব্যবহার করতে পারে।
আসলে আমরা যখন খাবার খাই তখন শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয়। মোবাইল ফোনের প্রযুক্তিতে নতুন বিপ্লব ঘটতে পারে। ইলন মাস্কের কোম্পানি অলরেডি নিউরোলিংক নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। মানুষের শরীরে সম্ভবত নতুন সেন্সর বসানো হতে পারে।
কম্পিউটারের সাথে মানুষের মস্তিষ্কের সংযোগ কীভাবে হবে এটি নিয়েও বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭৩ সালের স্মার্টফোন নিয়ে কাজ করে নতুন ইনোভেশন নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন মার্টিন কুপার।
মটোরোলা কোম্পানিতে তিনি সুনাম সহকারে কাজ করেছেন। কুপার আরো জানান যে, বর্তমানে স্মার্টফোনে প্রয়োজনের কারণে নানা ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে হচ্ছে । ফলে পুরো প্রক্রিয়া বেশি জটিল হয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এমন টেকনোলজি উদ্ভাবন করতে হবে যেন মানুষ আরও সুবিধা পেতে পারে।