ধু চন্দ্রিমার জন্য মালদ্বীপ বিখ্যাত জায়গা। নীল জলরাশির মাঝে রিসোর্ট গুলো দম্পতিদের আলাদা রোমান্টিকতা জাগিয়ে তোলে। এটি একটি মনোরম গন্তব্য। রাতের বেলা এখানকার সমুদ্রের মাঝে তারার দেখা মিলে। যা কি ‘সি অব স্টারস’ নামে পরিচত। মালদ্বীপের ভাধু দ্বীপে আপনি এই তারার দেখা পাবেন। মূলত পানিতে থাকা বায়োলুমিনেসেন্ট ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের অনন্য সংমিশ্রণের কারণে এটি ঘটে। এর ফলে পানিতে চমত্কার নীল আভা ছড়িয়ে যায়।
ভাধু দ্বীপ এক ধরণের অসারধারণ এবং পরাবাস্তব দৃশ্য তৈরি করে। সমুদ্রের পৃষ্ঠের ঠিক নীচে জ্বলন্ত তারার দেখা মিলে। জুন থেকে অক্টোবরে ভ্রমণে গেলে আপনি এই অনন্য দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারবেন। রাতের বেলায় চারপাশের অন্ধকার বায়োলুমিনিসেন্সকে আরও স্পষ্টভাবে জ্বলতে দেয়। তাই তখন তারাগুলো আরও বেশি দৃশ্যমান হয়।
ভাধু দ্বীপের এই অনিন্দ্য সুন্দর দৃশ্য সারা বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণ করে। তারার সাগরের অলৌকিক সৌন্দর্য এই দ্বীপকে মধুচন্দ্রিমার গন্তব্যে পরিণত করেছে। প্রকৃতি প্রেমীদেরকেও অনন্য এবং রোমান্টিক অভিজ্ঞতা দেয় এই জায়গাটি।
ভাধু দ্বীপে অত্যাশ্চর্য সাদা বালুকাময় সৈকত। এখানে স্ফটিক-স্বচ্ছ পানির দেখা মিলবে। এই দ্বীপের চারপাশে রয়েছে সবুজ গাছপালা। দ্বীপটি পর্যটকদের এক ধরণের শান্ত পরিবেশসহ ও সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা জন্য শ্রেষ্ঠ গন্তব্য। এই দ্বীপে থাকার সময়ে, স্থানীয়দের সাথে কথা বলুন। মালদ্বীপের লোকাল জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতা নিন। এখানকার স্থানীয়রা স্বাগত জানাতে খুব ভালবাসেন। দ্বীপের স্থানীয় সম্প্রদায় উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য পরিচিত।
ভাধু দ্বীপে পর্যটকদের থাকার সুব্যবস্থা আছে। বিলাসবহুল রিসোর্ট থেকে শুরু করে আরামদায়ক গেস্টহাউস এখানে রয়েছে। ভ্রমণকারীরা তাদের বাজেট অনুযায়ী থাকার ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন। ভাধু দ্বীপ ভ্রমণকারীদের একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা প্রদান করে। যা প্রকৃতির সৌন্দর্যকে জাদুর স্পর্শের সাথে একত্রিত করে।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া