বাংলাদেশের ভ্রমণপিপাসুদের কাছে একটি নাম খুবই পরিচিত—ফ্লাইট এক্সপার্ট। প্রাথমিকভাবে ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করা এই অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি (ওটিএ) বর্তমানে একটি সুপরিচিত ট্রাভেল ব্র্যান্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশিদের জন্য ভ্রমণের পুরো অভিজ্ঞতাটাই বদলে দিয়েছে ফ্লাইট এক্সপার্ট। সহজ, সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য ভ্রমণের জন্য ফ্লাইট এক্সপার্ট এখন সবার প্রথম পছন্দ।

ফ্লাইট এক্সপার্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সালমান বিন রশিদ শাহ সাইম যখন এটি শুরু করেন, তখন তাঁর লক্ষ্য ছিল একটি সহজ সমাধান দেওয়া—যেখানে ভ্রমণের সবকিছুই হবে একদম ঝামেলামুক্ত। বর্তমানে ফ্লাইট এক্সপার্ট শুধু বাংলাদেশের ভেতরেই নয়, বিশ্বের যেকোনো গন্তব্যে ভ্রমণের জন্য সেরা সমাধান।

ফ্লাইট এক্সপার্ট এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ফ্লাইট বুকিং থেকে শুরু করে হোটেল, ভিসা প্রসেসিং, এমনকি কাস্টমাইজড প্যাকেজ বুকিং পর্যন্ত সবকিছুই সম্ভব। সম্প্রতি চালু হওয়া ফ্লাইট এক্সপার্টের অ্যাপ বুকিংয়ের পুরো প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে দিয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড আর আইওএসে সহজলভ্য এই অ্যাপে আছে ‘ইজি ইএমআই’, ‘বুক নাউ পে লেটার’-এর মতো সুবিধা। অর্থাৎ আপনি চাইলে ইনস্টলমেন্টে পেমেন্ট করতে পারবেন বা আগে ফ্লাইট বুক করে পরে পেমেন্ট করতে পারবেন।

ফ্লাইট এক্সপার্টের বিশেষত্ব হলো, এটি সবার জন্য সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ী টিকিট থেকে শুরু করে পারিবারিক ট্যুর, ব্যবসায়িক ভ্রমণ কিংবা ওমরাহ প্যাকেজ—সব ধরনের ভ্রমণেই তাঁরা বিশেষ সেবা দিয়ে থাকে। বিশ্বের নামকরা এয়ারলাইনস, ব্যাংক ও পর্যটন সংস্থার সঙ্গে কাজ করে ফ্লাইট এক্সপার্ট, যা তাদের সেবার মানকে নিয়ে গেছে আরও উচ্চতায়।

শুধু ভ্রমণসেবা নয়, ফ্লাইট এক্সপার্ট ভ্রমণ নিয়ে সচেতনতা ও আগ্রহ বাড়াতেও কাজ করছে। ইউটিউবের জনপ্রিয় ট্রাভেল কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের নিয়ে ফ্লাইট এক্সপার্ট সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র ট্রাভেল পডকাস্ট, যার নাম ‘ফ্লাইট মোড অন’ বানানো শুরু করেছে। এর মাধ্যমে ফ্লাইট এক্সপার্ট প্রতিদিন নতুনভাবে ভ্রমণের গল্প শোনাচ্ছে। প্রথম সিজনে সালাউদ্দিন সুমন, মি. মিক্সার, এভারেস্টজয়ী বাবর আলী আর সাবিরা মেহেরিনের মতো জনপ্রিয় ভ্রমণ-ব্যক্তিত্বরা অতিথি হয়ে এসেছেন। ভ্রমণকে মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য ও আকর্ষণীয় করার জন্য তাঁদের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।

বালি, নেপাল বা সিঙ্গাপুর বিশ্বের যেকোনো দেশে, হোক সেটি সিঙ্গাপুর বা সুইজারল্যান্ড—প্রায়োরিটি ভ্রমণে ফ্লাইট এক্সপার্ট নতুন মাত্রা এনে দেয়। স্নরকেলিং, রিভার রাফটিং, বাঞ্জি জাম্পিং কিংবা বিমানে চড়ে মাউন্ট এভারেস্টের চারপাশ দেখার মতো রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার অ্যাক্টিভিটিজ এখন ভ্রমণপিপাসুদের হাতের নাগালে।
বেশ কিছু বছর ধরে বাংলাদেশের অনলাইন ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানে রয়েছে ফ্লাইট এক্সপার্ট। শুধু মানোন্নয়নই নয়, পুরো ভ্রমণশিল্পের জন্য নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৫ সালের জন্য নতুন পরিকল্পনা আর আন্তর্জাতিক পর্যটন সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করার উদ্যোগ নিয়ে ফ্লাইট এক্সপার্ট ভ্রমণকে আরও সহজ ও আনন্দদায়ক করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

ফ্লাইট এক্সপার্ট বিশ্বাস করে, ভ্রমণ কোনো বিলাসিতা নয়, এটা সবার অধিকার। শিক্ষার্থী, পরিবার বা ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী—সবাই যেন অনায়াসে ভ্রমণ করতে পারে, সেটিই এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য।