৬ বছর আগের কথা চিন্তা করলে দেখা যায়, ভ্রমণ বুকিং এর প্রক্রিয়াটা ছিল একেবারেই ভিন্ন। ঘুরতে যেতে চাইলে ফোন দিয়ে খোঁজ নেওয়া লাগতো বিভিন্ন জায়গায়। কোথায় থাকা উচিত, কিভাবে যাওয়া উচিত – সবই জানতে হতো লোকমুখে শুনে। তাছাড়া সম্পূর্ণ নতুন কোথাও ঘুরতে যাওয়াটা ছিল খুবই দুরূহ। কারণ চাইলেই ফ্লাইটের টিকেট হাতের কাছে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বিভিন্ন উৎস থেকে খোঁজ নিয়ে দাম, সময় ইত্যাদি তথ্য যাচাই করা লাগতো। ভ্রমণ বুকিং করতে গিয়ে এমন নাজেহাল অবস্থা থেকে কিছুটা নিস্তার আসে গোযায়ান এর মত একটি প্লাটফর্মের কারণে। শুধুমাত্র ফ্লাইট দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও, ধীরে ধীরে হোটেল এবং ট্যুর -সবকিছু নিয়েই কাজ করা শুরু করে গোযায়ান।
ষষ্ঠ বছরে পদার্পণ করে গোযায়ান প্রতিশ্রুতি দেয় আরও উন্নত ভ্রমণ সেবা দেশের মানুষের সামনে নিয়ে আসার। বর্তমানে ইচ্ছা হোক কক্সবাজার যাওয়ার কিংবা দূর দূরান্তের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে – মোবাইল ফোন থেকেই বুকিং করে ফেলা যায় স্বপ্নের ভ্রমণটির। তাই অসম্ভব বলতে ভ্রমণের জগতে আর কিছুই নেই। শুধু তাই নয়, নিজের ভ্রমণের প্রতিটি অংশ নিজের সিদ্ধান্ত এবং পছন্দমতো সাজানো সম্ভব। পর্যটনের এই অমূল পরিবর্তনের পিছনে অসামান্য অবদনা রেখেছে গোযায়ান। কোম্পানিটির কার্যক্রমের মাধ্যমে সম্পূর্ণ একটি প্রজন্মের ভ্রমণের আচার আচরণ বদলে যাচ্ছে। বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমরা কথা বলেছি গোযায়ান এর সেবাগুলো ব্যবহার করেছেন, এমন কিছু ভ্রমণপিপাসু পর্যটকের সাথে।
“গোযায়ান আমার স্বপ্নের ছুটি সত্যি করে দিয়েছে। হোটেল, খাবার দাবার, অ্যাক্টিভিটি – যেটা যেমন চেয়েছি তেমনই পেয়েছি। আর পুরো বুকিংটাই করতে পেরেছি একেবারে অনলাইনে। তাই আমার পুরো ট্যুরটা ছিল একেবারেই ঝামেলামুক্ত। ” – বলেছেন সিমিন রহমান। গোযায়ান থেকে দেশ বিদেশের বেশ কিছু বুকিং করেছেন তিনি।
সিমিন রহমানের মতোই অনেক গ্রাহকের জীবনে প্রভাব ফেলেছে গোযায়ান। কোম্পানিটি শুরু থেকেই পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে গিয়েছে। এই গ্রাহক-প্রথম মনোভাব এবং অসম্ভবকে সম্ভব করার স্বপ্নই আজ পর্যন্ত গোযায়ান এর সাফল্যের কেন্দ্রে আছে। সম্পূর্ণ অনলাইনে ফ্লাইট বুকিং সম্ভব করার পরপরই, গোযায়ান নিজেদের প্ল্যাটফর্মে প্রায় ৭ লক্ষ দেশ বিদেশের হোটেলের সমাহার আনে। এটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন ছিল। কারণ প্রথমবারের মত, দেশ বিদেশের পছন্দমত যেকোন হোটেল বাংলাদেশি মুদ্রা ব্যবহার করেই বুক করা সম্ভব হয়। পূর্বে এই কাজটি করার জন্য অনেকেই বিদেশী ওয়েবসাইট ব্যবহার করতেন, অথবা গন্তব্যে পৌঁছে একেবারে হোটেল খুঁজতেন। কিন্তু গোযায়ান এ বিশাল হোটেলের সমাহার আসার কারণে এই সমস্যাটা অনেকটাই কমে যায়। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে পর্যটকরা ই এম আই সুবিধা ব্যবহার করেও হোটেল বুকিং করতে সক্ষম হন, যাতে ভ্রমণের খরচের চাপটা অনেক কমে যায়।
“গোযায়ান ভ্রমণ বুকিং এর গৎবাঁধা নিয়মগুলোকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে। আগে যেখানে অনেক জায়গায় ফোন দিয়ে একটা বুকিং নিশ্চিত করা লাগতো, সেখানে এখন আমি গোযায়ান ব্যবহার করে ঘরে বসেই সব করে ফেলতে পারি। এতে পুরো ট্যুরটা নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা আমার নিজের হাতেই থাকে, অন্য কারোর উপর নির্ভর করা লাগেনা।”বলেন ইফতেখার মাহমুদ। প্রতিবারই দেশ বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে গোযায়ান থেকে যাবতীয় সব বুকিং করে থাকেন তিনি।
ফ্লাইট এবং হোটেলের ছাড়াও গোযায়ান নিয়ে আসে সম্পূর্ণ নিজের মত সাজিয়ে নেওয়ার মত ট্যুর। চিরাচারিত ট্যুর প্যাকেজের বাইরে যেয়ে, গোযায়ান নিয়ে আসে কাস্টমাইজ ট্যুর বুক করার সুযোগ। অর্থাৎ পর্যটকরা ঠিক যেভাবে ঘুরতে চায়, ওভাবেই সাজিয়ে নিতে পারবে নিজেদের ভ্রমণ। পছন্দের বাইরে কোন অ্যাক্টিভিটিতে অংশগ্রহণ করারও প্রয়োজন পড়েনা পর্যটকদের।
ষষ্ঠ বছর পূর্তিতে শুধুমাত্র গোযায়ান এর উন্নতমানের সেবাই নয়, প্রমাণিত হয় ভ্রমণের একটি উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণের প্রতি গোযায়ান এর অঙ্গিকার। ভবিষ্যতে কোম্পানিটি আরও নতুন উদ্ভাবন এবং আনন্দিত পর্যটকের সৃষ্টি করবে – এ বিষয়ে কোন দ্বিধা নেই। বিগত ৬ বছরে শুধু বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্যই নয়, বিশ্বমঞ্চে গোযায়ান উজ্জ্বল করেছে বাংলাদেশের নাম। গোযায়ান এর মূল লক্ষ্য এখন দেশব্যাপী পর্যটকদের কাছে ভ্রমণকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলা।