চীন ও মালয়েশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক ভিসামুক্ত চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগতভাবে আরও মজবুত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে পর্যটন খাতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। মালয়েশিয়ার পর্যটন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ৩৭ লাখ চীনা পর্যটক দেশটিতে ভ্রমণ করেছেন, যা মহামারি-পূর্বের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই বছর এই সংখ্যা ৫০ লাখে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের সুবিধা সীমান্তপারের ব্যবসায়িক কার্যক্রমকেও সহজ করেছে। দক্ষিণ চীনের উদ্যোগক্তারা, বিশেষ করে কুয়াংতোং-হংকং-ম্যাকাও গ্রেটার বে এরিয়া থেকে আসা ব্যবসায়ীরা, এখন অল্প সময়ের ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর এসে সপ্তাহান্তে মিটিং, বাজার গবেষণা এবং বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজতে পারছেন। এই সহজ চলাচল অর্থনৈতিক সংযোগকে দৃঢ় করছে এবং দ্রুত আন্তঃসীমান্ত ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করছে।
উভয় দেশ এখন পেশাগত যোগ্যতার পারস্পরিক স্বীকৃতি এবং আর্থিক পরিষেবা মানদণ্ড নিয়েও কাজ করছে। এমনকি কুয়ালালামপুরের শপিং সেন্টারগুলোতে আলিপে এবং উইচ্যাট পে এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই ব্যবহৃত হচ্ছে।
এদিকে, চীনে ২৪০ ঘণ্টার ভিসামুক্ত ট্রানজিট প্রোগ্রাম এখন কুয়াংতোং প্রদেশের আরও পাঁচটি বন্দরে কার্যকর হবে। সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছে চীনের জাতীয় অভিবাসন প্রশাসন। নতুন বন্দরগুলো হলো—কুয়াংচৌ, চুহাই-এর হোংছিন, চোংশান, হংকং–চুহাই–ম্যাকাও সেতু ও কুয়াংচৌ–শেনচেন–হংকং এক্সপ্রেস রেলওয়ের ওয়েস্ট কাওলুন স্টেশন।
নতুন নীতির মাধ্যমে এখন ভিসামুক্ত ট্রানজিটের জন্য মোট ৬৫টি বন্দর ব্যবহার করা যাবে। অভিবাসন প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, ৫৫টি দেশের পর্যটকরা নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে এই বন্দরগুলোয় প্রবেশ করতে পারবেন এবং ভিসা ছাড়া সর্বোচ্চ ২৪০ ঘণ্টা চীনে থাকতে পারবেন।
সূত্র: সিএমজি