তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে ৪ হাজার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোকে সমৃদ্ধ করেছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করছে। গত বছর বাংলাদেশ থেকে ১৩ হাজার ৫৬৩ জন শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে গেছেন, যা এযাবতকালের রেকর্ড। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পাঠানোর তালিকায় ১৩তম দেশে উত্তীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ। আগের বছরের তুলনায় শিক্ষার্থী পড়তে যাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ২৮ শতাংশ যা বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ।অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কনস্যুলার সেকশন, এডুকেশনইউএসএ, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক ভর্তি কর্মকর্তা, বর্তমান এবং সাম্প্রতিককালে পড়াশোনা শেষ করেছেন এমন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সময় শিক্ষার্থীরা যে ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক, সাংস্কৃতিক এবং জীবনযাত্রার পার্থক্যের মুখোমুখি হবে সে বিষয়ে অনুষ্ঠানে পরামর্শ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশে এডুকেশন ইউএসএর পরামর্শমূলক পরিষেবা এবং রেফারেন্স দেশের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে আমেরিকান সেন্টার, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, গুলশানের এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড আর্টস এবং চট্টগ্রামে আমেরিকান কর্নার। যেখানে প্রশিক্ষিত উপদেষ্টারা তথ্য দেন। একই সঙ্গে তারা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ব্যক্তিগত পরামর্শমূলক পরিষেবাও দেন। এডুকেশন-ইউএসএ রেফারেন্স লাইব্রেরি এবং দূরবর্তী পরামর্শ পরিষেবা খুলনা, সিলেট এবং রাজশাহীর আমেরিকান কর্নারেও পাওয়া যাবে।