কাজাখস্তান যেতে আগে থেকেই ভিসা সংগ্রহ করতে হয় না। দেশটির এয়ারপোর্টে পৌঁছে অন অ্যারাইভ্যাল ভিসা সংগ্রহ করতে হয়। মাত্র ৩ দিনেই দেশটি ঘুরে আসতে পারেন। ভ্রমণের খরচও কম। এই দেশে যেতে ভিসা লাগে না। এই দেশটি তার নামের মতোই আকর্ষণীয় এবং সুন্দর।
নামের মতোই সুন্দর আর আকর্ষণীয় মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশ। এটি এমন একটি দেশ যেটি বাজেট ফ্রেন্ডলি।এমনকি আকর্ষণীয় সেখানকার দর্শনীয় স্থানগুলোও। শুধু তাই নয়, এখানকার মুদ্রাও বেশ সস্তা। সেদেশে গিয়ে যদি বার্গার খেতে চান, তাহলে ৯০ টাকারও কম দামে সুস্বাদু বার্গার পেয়ে যাবেন। এদিকে কাজাখস্তান ‘নাইট লাইফ’ প্রিয় অনেকের কাছে। ওখানকার রাতের জীবন অতুলনীয়।
কাজাখস্তান বিশ্বের নবমতম বৃহত্তম দেশ এবং বিশ্বের দীর্ঘতম সীমান্তের দেশ। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনার বিদেশি ভ্রমণকে এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে এখানকার উপত্যকা, পাহাড়, হ্রদ, ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে ঘনিষ্ঠভাবে জানার সুযোগ পাবেন।
আলমাটি হ্রদ খুবই সুন্দর। আলমাটি কাজাখস্তানের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত। দেশটিতে যাওয়ার ভ্রমণ ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে কাজাখস্থানের সৌন্দর্য। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই হ্রদের উচ্চতা প্রায় ২৫১১ মিটার। জলবিদ্যুৎ শক্তির পাশাপাশি পানীয় পানির উৎস হিসেবেও আলমাটি হ্রদ ব্যবহৃত হয়।
শ্যারিন ক্যানিয়ন আলমাটির প্রায় ২১৫ কিলোমিটার পূর্বে শ্যারিন জাতীয় উদ্যানে অবস্থিত। ড্রাইভ করে প্রায় চার ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছানো যায় এখানে। এই গিরিখাতের আয়তন আমেরিকান ক্যানিয়নের চেয়ে কম, কিন্তু তা সত্ত্বেও এই ক্যানিয়নটি দেখতে দারুণ আকর্ষণীয়।
কোক টোবি কাজাখস্তানের একটি পাহাড়। এখানে যাতায়াতের সবচেয়ে সহজ উপায় হল কেবল্ কার। কোক-টোবি হিলে কেবল্ কার যাত্রার পর সেখানকার স্থানীয় স্টল এবং রেস্তোরাঁয় সুস্বাদু সব স্থানীয় চেখে দেখার সুযোগ পাবেন। ঘুরে নিতে পরেন এখনকার চিড়িয়াখানাও।
কাজাখস্তানের স্বাধীনতা লাভে এই প্যানফিলভের ২৮ গার্ডস্-ম্যানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই স্থানের নিজস্ব ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। অনন্ত শিখায় প্যানফিলভের মূর্তি এবং এই পার্কের অন্যান্য ভাস্কর্যগুলো এখনও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের চূড়ান্ত আত্মত্যাগের স্মৃতি বহন করে চলেছে।