মূলত তিনটি চাকার ওপর চলছে বাংলাদেশের সরকার-ব্যবস্থা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সামরিক বাহিনী। এবং ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সচেতন মহল কৌতুক করে ডাকছেন ‘তেভাগা সরকার।’ নোবেলজয়ী ড. ইউনূস নির্দলীয় এই সরকারের নেতৃত্বে। ভদ্রোচিত আচরণ দিয়ে চলতে গিয়ে পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। ‘জন্ম থেকে জ¦লা’ পরিস্থিতি দিনে দিনে অগ্নিগর্ভ হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি, দখলবাণিজ্য, চাঁদাবাজি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পদ-পদবী নিয়ে হট্টগোল, দাবি আদায়ের মহোৎসব চলমান। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, বিদ্যুৎ সংকট, মব-জাস্টিজ দেশব্যাপী।
দুটি বড়ো সমস্যা সমাধানে গৃহীত হয়েছে পদক্ষেপ। প্রথমত ভারতের সামরিক হুমকি ও সীমান্ত হত্যাকান্ড। দ্বিতীয়ত প্রবাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের উপযুক্ত শিক্ষা প্রদান। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মার্কিন দল ডেকেছেন ‘সহযোগিতা-সংলাপ’। ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বসছে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। ‘অর্থনৈতিক অবরোধ’ থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করাই সংলাপের লক্ষ্য। ঢাকা-ওয়াশিংটন বৈঠক বিষয়ে আন্দোলনকারী ছাত্ররাও সুযোগ খুঁজছেন। প্রফেসর ইউনূসের আমেরিকা সফরকে নির্বিঘ্ন রাখতে সোচ্চার। সফর প্রতিহতকরণে যুক্তরাষ্ট্র আ’লীগের কর্মসূচিকে আমলে নিয়েছেন। সংশ্লিষ্টদের নাম, ঠিকানা, ছবি সংগ্রহের উদ্যোগ চলছে। ছাত্রহত্যা ও বিশৃঙ্খলার ইন্ধনদাতা হিসেবে চলছে মামলার প্রস্তুতি। ‘মব-জাস্টিজ’ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের বাড়ি-ঘরও জ¦ালানো হবে। পাশাপাশি মার্কিন প্রশাসনকে প্রভাবিত করা হবে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে। মামলার জেরে এয়ারপোর্টেই করা হবে গ্রেফতার। হাজার খুনের রক্তরাঙা দলটির প্রতি এমনই কঠোর বিপ্লবজয়ী ছাত্রশক্তি।
আ.লীগকে ক্ষমা ও জাতীয় সঙ্গীত বদল ইস্যু ॥ হঠাৎ তলিয়ে গেলো জামায়াতের বেলুন-উত্থান : ছাত্র-গণ-অভ্যুত্থানের মাসপূর্তি ছিলো গত ৫ সেপ্টেম্বর। নব-স্বাধীনতার লগ্নে আলোচিত ছিলো জামায়াত রাজনীতি। কিন্তু মাস না পেরোতেই বিশাল ধাক্কা খেলো দলটি। পয়লা আগস্টে নিষিদ্ধ হওয়া দলটি ৩য় সপ্তাহে ‘অবমুক্ত’ হয়। রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেয়ে ঘোষণা করে ‘সাধারণ ক্ষমা’। ‘ফ্যাসিস্ট দল’ হিসেবে চিহ্নিত আ.লীগের অপরাধকে মার্জনা করে। প্রায় ৮০০ ছাত্র-জনতা খুনের বিষয়টিকে ভুলে যায়। জামায়াত আমির ডা. মাওলানা শফিক বক্তব্য দেন। বলেন, অনুশোচনার মাধ্যমে অপরাধীরা পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবেন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কোন পরিবার মামলা করলে আমরা সহায়তা দেবো।
জামায়াতের এমন বক্তব্যে বিরক্ত হয় অভ্যুত্থান পক্ষ। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতারা বিক্ষুব্ধ হন। বলেন, লাশের গন্ধ না শুকাতেই ওনারা ক্ষমা করার কে? পেছনে কোন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে জামায়াতের নির্বাচনী-নিবন্ধন নিষিদ্ধ অবস্থায় আছে। সুপ্রিম কোর্টের আপীল আদালতে বিষয়টি ঝুলন্ত। সরকারের সঙ্গে সমঝোতা না থাকলে সমাধান সহজতর হবে না।
জাতীয় সঙ্গীত বদলের প্রস্তাব করেছিলেন ব্রিগেডিয়ার (অব.) আজমী। তিনি জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আজম-পুত্র। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অধ্যাপক আজম রায় পান, প্রয়াত হন। অতঃপর হাসিনা সরকারের আমলে ‘গুম’ ছিলেন সন্তান আজমী। আলোচিত ‘আয়নাঘরে’ বন্দি ছিলেন ১১ বছর। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনকালে মুক্তি পান। বাড়ি ফিরে দেখেন স্ত্রীর অন্যত্র বিয়ে হয়েছে। ভাঙা মন নিয়ে ভাঙা সংসারে ফেরেন তিনি। অতঃপর জাতির সামনে মেলে ধরেন নতুন প্রস্তাব। বলেন, রবীন্দ্রনাথ রচিত জাতীয় সঙ্গীত বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে না। বক্তব্যটি দেশ-বিদেশ-প্রবাসে আলোড়ন তোলে। কিছুটা পক্ষে, বেশিটাই বিপক্ষে চলে যায়। ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি সমবেতভাবে গাওয়ার আন্দোলন হয়। মুক্তিযুদ্ধপন্থী মহল এই ইস্যুতে সমবেত হয়ে ওঠে। রাজনৈতিকভাবে বিএনপি, আ.লীগ, জাপা, বাম দলগুলোও সোচ্চার হয়। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও একাট্টা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনও একই সুর তোলে। বলে, জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের ইচ্ছে আমাদের নেই।
‘তেভাগা’ সরকারকে ‘অভাগা’ বানানোর চেষ্টা ॥ কিংস পাটির্র প্রস্তুতিতে নানামহলের বিরোধিতা : সরকারপক্ষীয় ‘কিংস পার্টি’ গঠনের খবর প্রথম দিয়েছিলো ‘ঠিকানা’। সেটি এখন ধীরে ধীরে আলোর মুখ দেখছে। ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ বা ‘জানাক’ এসে গেছে মাঠে। এটি নতুন রাজনৈতিক দলের সিঁড়ি বারান্দা। এই পথ ধরেই তিন কোটি শিক্ষার্থী ধরবেন রাজনৈতিক মশাল। চলছে নীতি-নির্ধারণ, গঠনতন্ত্র ও কর্মসূচি প্রণয়ন প্রস্তুতি। ধারণা করা হচ্ছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে আসবে চূড়ান্ত ঘোষণা। যদিও সমন্বয়ক কাম উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলছেন, না। আমরা এখনই রাজনৈতিক দলের বিষয়টি চূড়ান্ত করছি না।
তবে নাহিদের কথায় হাত গুটিয়ে থাকছেন না নেতৃবর্গ। জেলায় জেলায় কর্মসূচি চালাচ্ছেন। আট জেলায় বন্যা-ত্রাণে সাফল্য দেখিয়েছেন। নেতারা বলছেন, আগামীদিনের রাজনীতি আমরা করবো। উপদেষ্টা হওয়ায় নাহিদ আর মন্ত্রী-এমপি হতে পারবে না। নীতিগতভাবে উপদেষ্টারা আর রাজনৈতিক দলে সারিবদ্ধ হন না। ব্যতিক্রম ছিলেন আ.লীগের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অব.) রফিক, বীর-উত্তম। ‘কিংস পার্টি’ গঠনে বিএনপি, জামায়াত, জাপা উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমার ভবিষ্যৎ কি? বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের কী হবে। সাত বছর, দশ বছর ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা। খালাতো ভাই প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিনও দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। বিশ^স্ত সূত্রে জানা গেছে, সরকার জামিন বিষয়ে উদারতা দেখাবে। আ.লীগ বাদে অন্যসব দলের নেতারা কারামুক্ত থাকতে পারবেন। তবে মামলা চলমান থাকবে, সহজে প্রত্যাহার হবে না।
অন্যদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরূপে ‘কিংস পার্টি’ মূল্যায়িত হবে। জেলা পরিষদ, উপজেলা, মেয়র পরিষদে ঠাঁই পাবেন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগেই ‘কিংস পার্টি’ ডালপালা মেলছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে বিপ্লবজয়ী ছাত্রশক্তি। ভারতবিরোধী আবেগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা চলছে। সমন্বয়ক কাম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ দিয়েছেন গরম বক্তব্য। বলেছেন, ভারতের সাথে কথা হবে চোখে চোখ রেখে। মাথা নিচু করে কখনই নয়। উল্লেখ্য, নানা কারণে ভারতকে প্রতিপক্ষ ভাবছে বিপ্লবজয়ী ছাত্রশক্তি। তাদের ধারণা, শেখ হাসিনাকে শুধু আশ্রয়ই দেয়নি। পলাতক আ.লীগারদের নিয়ে রাজনৈতিক ঘোঁট পাকাচ্ছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরকে অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সীমান্তে কিশোর জয়ন্ত, স্বর্ণা দাসকে হত্যা করেছে। বাংলাদেশকে দুর্ভিক্ষ উপহার দেওয়ার চেষ্টা দৃশ্যমান। প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাদের আর্মিদের প্রস্তুত থাকতে বলেছে। বাংলাদেশের প্রতি নজরদারি এক বিশাল অশুভলক্ষণ।
‘সেভেন সিস্টার্সে’ ২১ বছরের হাসিনা সার্ভিস ॥ ভারতকে ঠেকাতে ঢাকাতে মার্কিন মিশন : ভূ-রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশকে প্রয়োজন ভারতের। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতরাজ্য সুরক্ষায় তটস্থ। অরুণাচল রাজ্যের ৬০ কিলোমিটার ভেতরে চীনাবাহিনি। তাঁবু খাটিয়ে সাতদিন অবস্থান করে গেছে। মণিপুর রাজ্যে চলছে স্বাধীনতার পদধ্বনি। ভারতের তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা নামিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। বিপ্লবমথিত সাত রঙের পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে সর্বত্র। তিনটি বৃহত্তর জেলায় চলছে কারফিউ। বাংলাদেশের আদলে ছাত্রশক্তি আন্দোলনে সোচ্চার। কেন্দ্রের বদলে রাজ্য সরকারের হাতে সব ক্ষমতা চায়। সরকারপক্ষ আন্দোলন দমানোর জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ইন্টারনেট লাইন বন্ধ করে চলছে দমন-নিপীড়ন। ‘সেভেন সিস্টার্স’ বা সাতরাজ্যেই বিদ্রোহীরা তৎপর। আলফা, বোড়ো, নাগা বিদ্রোহীরা স্বাধীনতা চায়।
১৯৯৭ সালে ‘সাপ্তাহিক ঠিকানা’ প্রথম বিস্তারিত বিবরণ ছাপে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হয়ে বিদ্রোহ দমনে সহযোগিতা দেন। সাতরাজ্যে ৬৬ হাজার অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করে ভারত। বিদ্রোহীদের ধরতে চিরুনী তল্লাশী চালানো হয়। সুড়ঙ্গপথে অসংখ্য বিদ্রোহী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। অনেকে চায়নিজ রেস্টুরেন্টসমূহে পেটে-ভাতে কাজ নেয়। অনেকেই সীমান্তরক্ষী বিডিআর-এর হাতে ধরা পড়ে। তাদের প্রত্যাশা, অভিবাসন আইনে তিনবছর জেল খাটবে। কিন্তু হাসিনা সরকার আটককৃতদের ভারতের হাতে তুলে দেয়। তাদের অধিকাংশকেই এনকাউন্টারে প্রাণ দিতে হয়।
শেখ হাসিনার প্রতি ‘সেভেন সিস্টার্স’ বিদ্রোহী’রা ক্ষুব্ধ ছিলো। ঐ সময়ে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও সেতুবন্ধমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাককে টাগের্ট করে। শেখ হাসিনাকেও হত্যার টার্গেট ছিলো ২০০৪-এ। সূত্রমতে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে মূলত ঐ বিদ্রোহীরা।
১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯-২০২৪ মোট ২১ বছর। শেখ হাসিনার শাসনকালে ভারত সরকার সেবা পেয়েছে। বিশেষ করে বিদ্রোহ দমনে ও যোগাযোগ উন্নয়নে একচ্ছত্র সুবিধা নেয়। কেন্দ্রীয় ভারত শুধুমাত্র শিলিগুড়ির ‘চিকেননেক’ দিয়ে ‘সেভেন সিস্টার্সে’ যেতে পারে। বিশাল ঘুরপথ দিয়ে সাতরাজ্য নিয়ন্ত্রণে রাখা কষ্টসাধ্য। আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড অনেকটা বাংলাদেশ সংলগ্ন। এজন্যে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট একান্ত কাম্য।
ড. ইউনূস ক্ষমতায় বসেই ভারতকে মৃদু হুমকি দেন। বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলাবেন না। তা নাহলে ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়েও ভোগান্তি বাড়বে। এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ভারতের নীতি-নির্ধারকেরা। বাংলাদেশকে করতলে রাখার জোর উদ্যোগ চলে। ভারতের আদানী গ্রুপ ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। ৫০ হাজার কোটি ডলার পাওনা। বিল না পাওয়ার অছিলায় সরবরাহ বন্ধ করে। পিঁয়াজসহ কাঁচা পণ্য সরবরাহে সৃষ্টি করা হয় অচলাবস্থা। ইউনূস সরকার দ্রত বিকল্প পদক্ষেপ নেয়। চীন, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড এগিয়ে আসে। ফলে সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির আপাত অবসান হয়েছে।
বৈদেশিক মুনাফা অর্জনে গার্মেন্টস খাত বাংলাদেশের গৌরব। কিন্ত ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানের পর সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। নানা দাবি-দাওয়ার অছিলায় শ্রমিক অসন্তোষ বাড়ছেই। ভাঙচুর, লুট, অগ্নিসংযোগ শিল্পখাতটিকে অস্থির করেছে। ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ‘বায়ার’কে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত।
এমন অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্রিয় হয়েছে মার্কিন মহল। উচ্চ পর্যায়ের টিম নিয়ে বাংলাদেশ সফর করছেন ডোনাল্ড লু। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বসবে অর্থনৈতিক সংলাপ। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। এটি এবং অন্যান্য আর্থিক খাতকে চাঙা করাই প্রধান লক্ষ্য। সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং উত্তেজনা ছড়িয়েছেন। সেনা, নৌ ও বায়ুসেনাকে যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হতে বলেছেন। বাংলাদেশের ওপর কড়া নজরদারির নির্দেশনাও দিয়েছেন। বিষয়টিকে সামরিক বিশ্লেষকরা হুমকি বলে মনে করছেন। ইতোমধ্যে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবাদসভা করেছে। শিক্ষকরা সরাসরি ভারতের আগ্রাসী ভূমিকার প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইউনূস সরকারের ওপর সামাজিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও তিনি সার্ক-এর চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে আগ্রহী। কিন্তু ভারতের মতিগতি বুঝে উঠতে পারছেন না। এমতাবস্থায় মার্কিন মিশন বাংলাদেশকে আশাবাদী করেছে। ডোনাল্ড লু-এর দলটি ঢাকা থেকে দিল্লি যাবে। ট্টেজারি বিভাগ, ইউএসএ এইডি, বাণিজ্য প্রতিনিধিরাও থাকছেন। বাংলাদেশের স্বার্থে অবদান রাখতে প্রথমত ও প্রধানত ঢাকামুখি হয়েছেন।