ব্রুনাই দারুসসালাম (Brunei Darussalam) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি ছোট কিন্তু অত্যন্ত ধনী দেশ। এটি বোর্নিও দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত এবং মালয়েশিয়ার সারাওয়াক রাজ্যের দ্বারা প্রায় সম্পূর্ণ পরিবেষ্টিত। তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল মজুতের কারণে ব্রুনাই বিশ্বের অন্যতম ধনী ও উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত।
ব্রুনাই-এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
বিষয় | তথ্য |
---|---|
রাজধানী | বান্দর সেরি বেগাওয়ান |
সরকারের ধরন | সংবিধানিক রাজতন্ত্র |
রাষ্ট্রপ্রধান | সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ |
আয়তন | ৫,৭৬৫ বর্গ কিলোমিটার |
জনসংখ্যা | প্রায় ৪.৫ লাখ (২০২৩) |
সরকারি ভাষা | মালয় |
ধর্ম | ইসলাম (রাষ্ট্রধর্ম) |
মুদ্রা | ব্রুনাই ডলার (BND) |
ব্রুনাই বোর্নিও দ্বীপে অবস্থিত এবং এর চারপাশে মূলত মালয়েশিয়ার সারাওয়াক রাজ্য রয়েছে। দেশটি দক্ষিণ চীন সাগরের সাথেও যুক্ত। ব্রুনাইয়ের জলবায়ু ক্রান্তীয়, যেখানে সারা বছর উচ্চ আর্দ্রতা ও গড়পড়তা তাপমাত্রা ২৬-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে।
ব্রুনাইয়ের ইতিহাস বহু শতাব্দী পুরোনো। এটি একসময় একটি শক্তিশালী মালয় সাম্রাজ্যের কেন্দ্র ছিল, যা ১৫-১৬ শতকে ফিলিপাইন এবং বোর্নিওর কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করেছিল। পরে এটি ব্রিটিশদের প্রভাবাধীন হয়ে পড়ে এবং ১৯৮৪ সালের ১ জানুয়ারি ব্রিটেন থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে।
ব্রুনাইয়ের অর্থনীতি মূলত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। দেশটির সরকার নাগরিকদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং বিভিন্ন সামাজিক সুবিধা প্রদান করে। এছাড়াও, দেশটি করমুক্ত অর্থনীতির জন্য পরিচিত।
ব্রুনাইয়ের সংস্কৃতি মালয় ও ইসলামি ঐতিহ্যের মিশ্রণে গড়ে উঠেছে। দেশটির সামাজিক ব্যবস্থা অত্যন্ত রক্ষণশীল এবং ইসলামের মূলনীতিগুলো কঠোরভাবে পালন করা হয়।
ব্রুনাইয়ে প্রচুর প্রাকৃতিক এবং ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে।
ব্রুনাই একটি সংবিধানিক রাজতন্ত্র, যেখানে সুলতান সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। বর্তমান সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ, যিনি ১৯৬৭ সাল থেকে শাসন করছেন। ব্রুনাই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী শাসকদের একজন।
ব্রুনাই বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ দেশ হওয়ায় নাগরিকদের জন্য উচ্চমানের জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা হয়েছে।
✅ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা
✅ করমুক্ত অর্থনীতি
✅ নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ
✅ উন্নত অবকাঠামো
ব্রুনাই একটি ছোট কিন্তু অত্যন্ত সমৃদ্ধ দেশ, যেখানে তেল ও গ্যাসের বিশাল সম্পদ রয়েছে। ইসলামী মূল্যবোধ, উন্নত জীবনযাত্রা ও সুশৃঙ্খল প্রশাসন দেশটিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম ব্যতিক্রমী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ভবিষ্যতে দেশটি অর্থনীতির বহুমুখীকরণের মাধ্যমে আরও উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারে।