স্টুডেন্ট ভিসায় কড়াকড়ি আরোপ করেছে বৃটেন। নতুন এই নিয়মের অধীনে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবারের সদস্য অথবা তাদের ওপর কোনো নির্ভরশীলকে বৃটেনে নিতে পারবেন না। বৃটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গবেষণা নয় এমন পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্সে যেসব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী যাবেন, তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হবে। বৃটেনে অভিবাসন বিষয়ক সমস্যা মোকাবিলায় কঠোর হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান তার ঘোষণায় বলেছেন, যেসব শিক্ষার্থী পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্সে গবেষণায় ডিগ্রি নেয়ার জন্য যাবেন, শুধু তারা পিতামাতা, সন্তান, পরিবারের সদস্যদেরকে নির্ভরশীল হিসেবে বৃটেনে নিতে পারবেন।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা শেষ না করা পর্যন্ত পাশাপাশি কাজে জড়িয়ে পড়ার সক্ষমতা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে বৃটিশ সরকার। অর্থাৎ পড়াশোনার পাশাপাশি তারা কাজ করতে পারবেন না। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ব্যবস্থাপনার বিষয় এবং তাদের ওপর নির্ভরশীলদের বিষয় পর্যালোচনা করে দেখছে সরকার। এর উদ্দেশ্য বিদেশি অভিবাসন কমিয়ে আনা। হাউজ অব কমন্সে অভিবাসন বিষয়ক এই নতুন নিয়ম ঘোষণা দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান বলেন, বৃটেনে অভিবাসীর হার নিয়ন্ত্রণে এসব নতুন নিয়ম প্রয়োজন। সরকারি পর্যায়ে সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশের দু’দিন আগে এই বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে রেকর্ড সাত লাখ অভিবাসী থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ২০২২ সালে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভরশীলদের জন্য মোট এক লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৮ টি ভিসা দিয়েছে বৃটেন। ২০১৯ সালের রেকর্ডের তুলনায় তা প্রায় ৯ গুন বেশি।