ওয়ার্ক পারমিটসহ বিদেশে ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন। অনেক দেশ আছে যেখানকার ভিসা পেতে বেশ নাকাল হতে হয়। আবার এমন কিছু দেশ আছে যারা সেই দেশে কাজ করার জন্য সহজেই ভিসা দেয়। শুধু সেদেশে কাজে যোগ দেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা দিতে হবে। সেইসঙ্গে পাস করতে হবে বেশ অনেকটি মানদণ্ড।
আপনিও যদি কাজের জন্য বিদেশি জায়গা খুঁজছেন, তাহলে সেই পাঁচটি দেশ সম্পর্কে জানুন। যেখানে অফার লেটার ছাড়াই কাজের ভিসা দেওয়া হয়।
জার্মানি
প্রয়োজনীয় যোগ্যতা: জার্মানিতে কজের জন্য যেতে চাইলে কর্মপ্রার্থীর বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে স্নাতক, এবং কমপক্ষে পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়াও প্রার্থীকে অবশ্যই নিজের আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রমাণ দিতে হবে, যার অর্থ হল জার্মানিতে চাকরি খোঁজার সময় প্রয়োজনীয় খরচ বহন করতে পারবেন কিনা। এর জন্য, প্রার্থীরর অ্যাকাউন্টে প্রায় ৫ লাখ টাকা থাকবে কিংবা বা স্পন্সরের জন্য অবলিগেশন লেটার দেখাতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: প্রার্থীর সঙ্গে গত ১০ বছরে জারি করা এবং কমপক্ষে ১২ মাসের বৈধতা পাসপোর্ট থাকতে হবে, তিনটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, একটি কভার লেটার, শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ, ডিগ্রির প্রমাণ, সিভি, স্বাস্থ্য বিমা এবং জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।
থাকার সময়- ছয় মাস
অস্ট্রিয়া
অস্ট্রিয়াতে উচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী নিয়োগ করা হয়। এই দেশে শীর্ষ-স্তরের কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়, যেমন বিজ্ঞানী এবং সিনিয়র শীর্ষ-স্থানীয় ম্যানেজার।
থাকার সময়- ৬ মাস
প্রয়োজনীয় যোগ্যতা: অস্ট্রিয়ার শীর্ষ স্তরে তালিকায় প্রথম ১০০ জনের মধ্যে থাকতে গেলে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ স্কোর করতেই হবে। এতে প্রার্থীর দক্ষতা এবং যোগ্যতা যেমন পুরষ্কার, গবেষণা এবং উদ্ভাবন, অ্যাকাডেমিক ডিগ্রি, মোট বেতন এবং ভাষার দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: সেদেশে যেতে গেলে দরকার প্রার্থীর বৈধ পাসপোর্ট, ছবি, স্থানীয় বসবাসের প্রমাণ, স্বাস্থ্য বিমা এবং সেইসঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রাপ্ত নম্বরের নথি।
সংযুক্ত আরব আমিরাত
থাকার সময়: ৬০, ৯০ বা ১২০ দিন
প্রয়োজনীয় যোগ্যতা: ব্যক্তিকে অবশ্যই বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত বা মানবিক ক্ষেত্রে একটি উচ্চপদস্থ কর্মী বা ম্যানেজারতুল্য পদে থাকতে হবে। এই যোগ্যতা থাকলে চাকরি সজেই মেলে। দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমদিত যেকোনো সেরা ৫০০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হতে হবে। তবেই প্রার্থীকে কাজের অনুমোদন দেওয়া হবে। স্নাতকের শেষ দুই বছরের সময় বিবেচনা করা হবে, প্রার্থীকে অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে এবং নিজের আর্থিক গ্যারান্টিও দেখাতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: একটি বৈধ পাসপোর্ট, রঙিন ছবি এবং যোগ্যতার সনদ।
স্পেন
আপনি যদি স্পেনে আপনার বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের শিক্ষা শেষ করে থাকেন, তাহলে এই দেশ আপনাকে চাকরি পেতে বা ব্যবসা শুরু করার জন্য ভিসা দেবে।
থাকার সময়: ১২ থেকে ২৪ মাস
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: স্পেনে উচ্চশিক্ষা লাভ করলে, এখানে থাকতে চাইলে অবশ্যই প্রাইভেট পাবলিক মেডিক্যাল বিমা এবং পর্যাপ্ত পরমাণ অর্থ থাকতে হবে। ইউরোপীয় যোগ্যতা ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজাল্টে অবশ্যই ৬ বা তার বেশি শতাংশ নম্বর অর্জন করেছেন।
সুইডেন
উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিরা সুইডেনে গিয়ে কাজ খোঁজার বা নিজের ব্যবসা শুরু করার জন্য আবাসিক অনুমতি পেতে পারেন।
সময়: তিন থেকে নয় মাস
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: এক্ষেত্রে প্রার্থীর অবশ্যই উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রি থাকতে হবে। মানে ৬০-ক্রেডিট মাস্টার্স ডিগ্রি, ১২০-ক্রেডিট মাস্টার্স ডিগ্রি, ৬০-৩৩০ ক্রেডিট পেশাদার ডিগ্রি বা কোনও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট বা পিএইচডি স্তরের ডিগ্রি থাকতে হবে। এছাড়াও নিজের খরচ চালানোর মতো অর্থ আছে কিনা তারও পরীক্ষা করা হবে।