দীর্ঘ ৫ বছর ধরে শীর্ষ অবস্থানের পর হেনলি পাসপোর্ট সূচকে এবার তৃতীয় অবস্থানে নেমে এসেছে জাপান। সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট এখন সিঙ্গাপুরের। দেশটির পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই বিশ্বের ১৯২টি গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারবেন।
সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৬তম। গতবছর এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৪তম। বর্তমানে বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ৪০টি দেশে ভিসামুক্তভাবে কিংবা অন-অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে ভ্রমণ করতে পারেন।
লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনারস ২০০৬ সাল থেকে এই তালিকা প্রকাশ করে আসছে। কয়টি দেশে অন-অ্যারাইভাল ভিসা বা ভিসামুক্ত ভ্রমণ করা যায় তার ভিত্তিতে বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্টের র্যাঙ্কিং করে প্রতিষ্ঠানটি।
এবারের সূচকে জার্মানি, ইতালি ও স্পেন দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। দেশগুলোর নাগরিকরা ১৯০টি গন্তব্যে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ করতে পারেন। তৃতীয় অবস্থানে আছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ ও সুইডেন।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য উভয়ই ২০১৪ সালে যৌথভাবে প্রথম ছিল। এর পর থেকেই তাদের অবস্থান কমতে শুরু করে। তবে এবার যুক্তরাজ্য আবার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে দেশটির অবস্থান চতুর্থ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৮ নম্বর অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ১৮৩টি গন্তব্যে ভিসা-মুক্ত প্রবেশ করতে পারবেন।হেনলি পাসপোর্ট সূচকটি ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)-এর তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। ভিসা নীতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এটি সারা বছর জুড়েই হালনাগাদ করা হয়ে থাকে।
সূচকে সবার নিচে অবস্থান করছে আফগানিস্তান। দেশটির অবস্থান ১০৩তম। ভিসা ছাড়াই আফগানিস্তানের নাগরিকরা ২৭টি গন্তব্যে যেতে পারবেন। আফগানিস্তানের উপরে আছে ইরাক।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে আছে মালদ্বীপ। দেশটির অবস্থান ৫৭তম। দেশটির নাগরিকরা ৯১টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন। ভারতের অবস্থান ৮০তম। ভুটানের অবস্থান ৮৪তম, শ্রীলংকা রয়েছে ৯৫তম অবস্থানে এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১০০তম।
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের চেয়ারম্যান ক্রিশ্চিয়ান এইচ কেলিন বলেছেন, সিঙ্গাপুর গত এক দশক ধরে তার দেশের নাগরিকদের ভ্রমণ স্বাধীনতা বৃদ্ধি করতে পেরেছে। সিঙ্গাপুর নতুন করে ২৫টি গন্তব্যে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার অর্জন করেছে।