কথায় আছে, আকাশ পথে যোগাযোগের জন্য যেখানেই বিমানবন্দর চালু করা হয়, সেখানেই সমৃদ্ধি এবং নগর উন্নয়নের সূচনা হয়। তবে বিশ্বের এমন কয়েকটি দেশ রয়েছে, যেখানে কোনো বিমানবন্দর নেই। দেশগুলো প্রমাণ করছে যে, বিমানবন্দর সবসময় প্রয়োজনীয় নয়। তাহলে চলুন তেমনই কয়েকটি দেশের নাম জেনে নেই চোখের পলকে-
মোনাকো
মোনাকো বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ। দেশটির তিন দিকেই রয়েছে ফ্রান্স। আয়োতনের জন্য এর নিজস্ব কোনো বিমানবন্দর নেই। যারা মোনাকোতে ঘুরতে যান তাদের সবাইকে ফ্রান্সের নিস কোট ডি আজুর বিমানবন্দরে অবতরণ করতে হয়। পরে একটি ক্যাব বুক করতে হবে। কেউ আবার নৌকা ভাড়া করেও মোনাকোতে যান।
সান মারিনো
সান মারিনো বিশ্বের প্রাচীনতম রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি। এটি সম্পূর্ণরূপে ইতালি দ্বারা বেষ্টিত। সান মারিনোর সমুদ্রে প্রবেশাধিকার নেই। যেহেতু এটি খুব ছোট তাই এর কোনো বিমানবন্দর নেই।
সান মারিনো থেকে সব দিক দিয়ে ইতালিতে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। নিকটতম বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে একটি হল ইতালির রিমিনি। এ ছাড়াও অন্যান্য বিমানবন্দর রয়েছে যেমন- ফ্লোরেন্স, বোলোগনা, ভেনিস এবং পিসা। দেশটিতে আসা পর্যটকরা এসব বিমানবন্দরেই অবতরণ করেন।
এন্ডোরা
এন্ডোরা অন্যান্য দেশের মতো ছোট নয়। তবে এখানে সমস্যা পাহাড়। এটি ফ্রান্স এবং স্পেনের মধ্যে অবস্থিত। যা সম্পূর্ণভাবে পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত। ৩০০০ মিটার উচ্চতার কাছাকাছি চূড়া রয়েছে। এ ধরনের উচ্চতায় উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করা বিপজ্জনক। যে কারণে দেশটিতে কোনো বিমানবন্দর না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভ্যাটিকান সিটি
এটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ। জনসংখ্যা মাত্র ৮শ’র কাছাকাছি। বিমান অবতরণ করার জন্য খুব বেশি জায়গা নেই দেশটিতে। নেই কোনো নদী বা সমুদ্র। কিন্তু এটিকে ঘিরে রয়েছে অন্যান্য বিমানবন্দর। যার মধ্যে রয়েছে রোমের সিয়াম্পিনো এবং ফিউমিসিনো। এসব বিমানবন্দর থেকে ভ্যাটিকান সিটিতে ট্রেনে যাওয়া যায়। সময় লাগে ৩০ মিনিটেরও কম।
লিচেনস্টাইন
লিচেনস্টাইনও ছোট একটি দেশ। দেশটির আয়তন মাত্র ৭৫ কিলোমিটার। লিচেনস্টাইন বিমানবন্দর তৈরি করলে আংশিকভাবে রাইন, পূর্বে এবং পশ্চিমে অস্ট্রিয়ান পর্বতমালার জমি ব্যবহার করতে হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে লিপ্ত হতে চায় না লিচেনস্টাইন। তাই বিমানবন্দর ছাড়াই রয়ে গেছে দেশটি। স্থানীয়রা প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জুরিখ বিমানবন্দরে পৌঁছানোর জন্য গাড়ি বা বাস ব্যবহার করে থাকে।