1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
‘বিশ্বকাপ ভিসা’ বলে কিছু কি আছে
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৭ অপরাহ্ন

‘বিশ্বকাপ ভিসা’ বলে কিছু কি আছে

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

অ্যামেরিকা হচ্ছে এটার হোস্ট। এটা আপনি একটু আগেই বলেছেন। স্মরণকালের সর্ববৃহৎ বিশ্বকাপ। ৪৮টা দেশ এখানে খেলবে। ১৬টি শহরে খেলবে। লক্ষ লক্ষ দর্শক এখানে থাকবে, কিন্তু অনেকেই মনে করে করছে যে, এইখানে যদি তারা ভিসা নিয়ে আসতে পারে, তারা হয়তো গ্রিন কার্ড পাবে। না। এটা হচ্ছে সম্পূর্ণ একটা ভ্রান্ত ধারণা।’ আগামী বছরের জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রধান আয়োজক দেশ অ্যামেরিকা। ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরটি দেখতে দেশটিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসবেন অনেকে। তাদের মধ্যে থাকতে পারেন বাংলাদেশিরাও।

বিশ্বকাপের ওই সময়কে কেন্দ্র করে অ্যামেরিকা সরকারের বিশেষ কোনো ভিসা কর্মসূচি আছে কি না, সে সংক্রান্ত প্রশ্ন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরীকে করেছেন টিবিএন অ্যানালাইসিসের সঞ্চালক রানা আহমেদ।

যে ব্যাপারটি এখন সামাজিক মাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে, আইনি দৃষ্টিতে আদৌ কি এমন কোনো ভিসা বা বিশেষ প্রোগ্রাম আমেরিকাতে আছে?

মঈন চৌধুরী: ধন্যবাদ, রানা ভাই। আপনার প্রশ্ন ছিল বিশ্বকাপ নামে আলাদা কোনো ভিসা। না, এই রকম কোনো ভিসা আমরা এখন পর্যন্ত শুনি নাই।

অ্যামেরিকা হচ্ছে এটার হোস্ট। এটা আপনি একটু আগেই বলেছেন। স্মরণকালের সর্ববৃহৎ বিশ্বকাপ। ৪৮টা দেশ এখানে খেলবে। ১৬টি শহরে খেলবে। লক্ষ লক্ষ দর্শক এখানে থাকবে, কিন্তু অনেকেই মনে করে করছে যে, এইখানে যদি তারা ভিসা নিয়ে আসতে পারে, তারা হয়তো গ্রিন কার্ড পাবে। না। এটা হচ্ছে সম্পূর্ণ একটা ভ্রান্ত ধারণা।

অ্যামেরিকার ভিসা মানেই কোনো গ্রিন কার্ড না। আপনারা যারাই বিশ্বকাপের ফ্যান অথবা টুরিস্ট হিসেবে আসতে চাচ্ছেন, তাদের নিজস্ব যে আর্থিক সচ্ছলতা থাকতে হবে এবং আপনাদের এটা এক ধরনের প্রমিস যে, আপনারা অ্যামেরিকায় বিশ্বকাপ দেখার পরে চলে যাবেন।

যখনই একটা লোক দেখবে যে, আপনি অন্য কোন দেশের ভিসা নাই, খেলা হচ্ছে তিন দেশে— মেক্সিকো, কানাডা এবং ইউএসএ। যখনই অ্যামেরিকান অ্যাম্বাসি দেখবে যে, আপনি শুধু অ্যামেরিকার খেলা দেখার জন্য পাগল, তখন তারা বুঝতে পারবে যে, আপনি হয়তো আমেরিকার ভিসাটাই চাচ্ছেন।

সো এ ক্ষেত্রে অনেক এজেন্সিরা কাজ করছে আমরা শুনতে পাচ্ছি। আমি তাদেরকে ছোট করে দেখছি না, তবে রিয়েল যারা আপনার আসা উচিত। যারা আসলেই দর্শক এবং খেলাধুলার ফ্যান, তারা আসতে পারে। এটা আমাদের জন্য একটা ইকোনমিক্যাল বোস্টিং হবে। সব দেশে এটা হয়। বিশ্বকাপের সময় একটা ইকোনমি চাঙা হয়।

সব দেশের টুরিস্ট আছে। তারা এখানে স্পেন্ড করে। অ্যামেরিকা এটা চায়, কিন্তু এইবারের বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের যে ইমিগ্রেশন নীতি, আমাদের যে ধারণা মনে হচ্ছে যে, এখানে যারাই টুরিস্ট ভিসায় আসবে, তাদেরকে হয়তো একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হবে। এক মাস বা তিন মাসের মধ্যে তারা চলে যেতে হবে।

তারা অন্য কোনো ধরনের স্ট্যাটাসে অ্যাডজাস্ট করার সুযোগ হয়তো দেওয়া হবে না এবং কারণ আপনারা প্রমিস করে আসছেন যে, খেলা দেখার জন্য। খেলা দেখে আপনারা চলে যাবেন। সে ক্ষেত্রে যারা আপনারা কারও হেল্প নিতেই পারেন, কিন্তু আপনারা কখনও কোনো ধরনের মিথ্যা তথ্য দিবেন না, যেটার কারণে আপনার ভবিষ্যতে আমেরিকার দুয়ার সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় তবে রানার ভাইয়ের সাথে একমত হয়ে বলছি, কিছু প্রতারক চক্র হয়তো সাধারণ মানুষ থেকে যারা কোয়ালিফাইড না, তাদের কাছ থেকে হয়তো টাকা নেওয়ার চেষ্টা করবে। এটা আপনার দায়িত্ব হচ্ছে নিজের থেকে সচেতন থাকা। এইটুক জানার চেষ্টা করবেন।

আসলে আপনি সঠিক জায়গায় আছেন কি না এবং সঠিকভাবে আসলে কি আপনি খেলা দেখার মতো যোগ্য কি না। আপনি সারা দুনিয়ায় কোথাও খেলা হচ্ছে, দেখেন নাই। আপনার বয়সে তো এখন ৫০ বছর। আপনি এর আগেও ব্যবসা করেন ১০ বছর যাবত।

কোনো খেলা আপনার দেখার শখ ছিল না। শুধু অ্যামেরিকায় খেলা দেখার জন্য আপনি চলে আসছেন ফ্যামিলিসহ। দিস ইজ সামথিং সাসপিশাস। আমি সবাইকে বলব আমি এজ অ্যাটর্নি অ্যাট ল হিসেবে বলছি, নো ম্যাটার হুইচ প্রশাসন, আপনার এখানে কাজ করে ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান।

বর্তমান সিচুয়েশন একটু চেঞ্জড। এটা যদি কেউ আশা করে আসেন যে, এখানে আসলে পরে আপনার ভিসাটা স্থায়ী হয়ে যাবে বা আপনার হয়তো গ্রিন কার্ড পেয়ে যাবে, নতুন কিছু হবে, এই সুযোগটা বর্তমান সরকার এখনও কোনো ধরনের ঘোষণা করে নাই। করবে বলে মনে হয় না। এই ভ্রান্ত ধারণা রাখবেন না।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com