চট্টগ্রামের বিমানের টিকিট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের মাধ্যমে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমিরাত প্রবাসী এস এম মোদাচ্ছের শাহ।
চট্টগ্রাম হাটহাজারি উপজেলার বাসিন্দা আমিরাত প্রবাসী ব্যবসায়ী এস এম মোদাচ্ছের শাহ গত ২২ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে দুবাই যাওয়ার জন্য ৫৩ হাজার টাকা দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিট করেন চট্টগ্রামের একটি ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে। পরে বিশেষ প্রয়োজনে টিকিটের তারিখ পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দেয় তার। তাই আবারও যোগাযোগ করেন ট্রাভেল জোন নামের ওই এজেন্সির সঙ্গে। তখন তারা জানায় টিকিটের তারিখ পরিবর্তন করতে দিতে হবে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা। মোদাচ্ছের শাহ দাবি করা টাকা না দিয়ে যোগাযোগ করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রাম অফিসে। তারা অপারগতা প্রকাশ করলে যোগাযোগ করেন দুবাই অফিসে, সেখানেও তিনি ব্যর্থ হন।
তার অভিযোগ, বহু চেষ্টার পরও টিকিটের তারিখ পরিবর্তন করতে পারেনি বিমানের নিজস্ব দুটি অফিস। অথচ টাকা দিলে মুহূর্তেই তারিখ পরিবর্তন করে নতুন টিকিট করে দেয় ট্রাভেল এজেন্সি।
এ বিষয়ে দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে দেওয়া লিখিত অভিযোগে মোদাচ্ছের শাহ উল্লেখ করেছেন, “দুটি অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি, ‘ট্রাভেল জোন’ নামক ট্রাভেল এজেন্সি টিকিট লক করে রেখেছে। সঙ্গে পিএনআর ব্লক করে রেখেছে। পরে তাদের এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পরিবর্তন করে দেবেন বলে জানান। তবে তার জন্য দিতে হবে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘আমি টিকিট করে দেওয়ার জন্য চাপ দিলে অনেক বাকবিতণ্ডার পর টাকার পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে ৮ হাজার টাকা দিতে বলেন। আমি কোনো উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ৮ হাজার টাকা দিয়ে টিকিটের তারিখ পরিবর্তন করেছি। আমার মনে হয়েছে প্রবাসীদের জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াটাই তাদের ব্যবসা।’
মোদাচ্ছের শাহ বলেন, প্রবাসীরা অনেকদিন ধরে এই কালোবাজারিদের কাছে জিম্মি। সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিমানের অনেক কর্মকর্তা জড়িত। চট্টগ্রামের চিহ্নিত সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার মাধ্যমে প্রবাসীদের স্বস্তি ফেরানো আমার মূল দাবি।
এদিকে মোদাচ্ছের শাহর দেওয়া লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই।