মাঝ আকাশে বিমানের টয়লেটে ধূমপান করছিলেন ভারতের এক বাঙালি তরুণী। ধরা পড়তেই হৈহৈ কাণ্ড। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরুগামী ইন্ডিগোর একটি বিমানে।
জানা যায়, গত ৫ মার্চ রাত স্থানীয় সময় ৯টা ৫০ মিনিটে ২৪ বছরের প্রিয়াংকা চক্রবর্তী ইন্ডিগোর ৬ই-৭১৬ ফ্লাইটে কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন। মাঝ আকাশে বিমানের টয়লেটে গিয়ে তিনি ধূমপান শুরু করেন। ধোঁয়া দেখে সন্দেহ হয় সবার। এরপরই ফ্লাইট ক্যাপ্টেন প্রিয়াংকাকে দরজা খুলতে বলেন এবং তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। টয়লেটের দরজা খুললে ময়লার বিনে একটি সিগারেট পড়ে থাকতে দেখা যায়। বেঙ্গালুরুতে বিমান অবতরণের পরই পুলিশ ওই তরুণীকে আটক করে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মকর্তার কাছে দায়ের করা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রিয়াংকাকে গ্রেপ্তার করে। পরে অবশ্য ওই তরুণীকে জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত গত ৬ ডিসেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার ১৪২ নম্বর ফ্লাইটের টয়লেটে বসে ধূমপান করতে গিয়ে ধরা পড়েন এক যাত্রী। বিমানটি প্যারিস থেকে ছেড়ে নয়াদিল্লির উদ্দেশে যাচ্ছিল। এ ছাড়া ওই বিমানেই এক মাতাল যাত্রী সহযাত্রীর আসন খালি দেখে তার কম্বলের মধ্যে প্রস্রাব করে দেন। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ডিজিসিএ এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে এ ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে চায়। গত ৫ জানুয়ারি ডিজিসিএ এয়ারলাইনের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ ইস্যু করে। নোটিশে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনায় অসভ্য আচরণ করা যাত্রীদের ক্ষেত্রে যা পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, তা করেনি এয়ার ইন্ডিয়া। এ কারণেই এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়।
বেসামরিক বিমান চলাচলের প্রয়োজনীয়তা (সিএআর) সেকশন-৩, সিরিজ-এম, পার্ট-৬-এর নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিমানে যাত্রীদের ধূমপান করার অনুমতি নেই। সিগারেটের প্যাকেট সঙ্গে রাখা গেলেও কোনো লাইটার কিংবা দিয়াশলাই নিয়ে বিমানে উঠতে পারবেন না যাত্রীরা। ই-সিগারেটও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ছাড়া বিমানের মধ্যে কোনো যাত্রী যদি অশালীন আচরণ করেন, তবে অবতরণের ১২ ঘণ্টার মধ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যথাযথ অভিযোগের ভিত্তিতে সব বিষয় খতিয়ে দেখতে একটি তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করতে হবে। এই কমিটিতে থাকবেন একজন জেলা কিংবা নগর দায়রা আদালতের বিচারক, অন্য কোনো বিমান সংস্থার প্রতিনিধি, ক্রেতা/গ্রাহক সুরক্ষা বিভাগের একজন প্রতিনিধি।
সূত্র : এই সময়