আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়া একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় গন্তব্য। এখানে এমন অনেক স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে, যা শুধু পড়াশোনার খরচ মেটায় না, বরং সরকার প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। সরকারি-বেসরকারি এ ধরনের স্কলারশিপের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্কলারশিপ ছাড়াও, সরকারও বিশেষ স্কলারশিপ প্রদান করে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ‘রিসার্চ ট্রেনিং প্রোগ্রাম (আরটিপি)’ স্কলারশিপ, যা বাংলাদেশসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনা করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে আবেদনের সময়সীমায় ভিন্নতা রয়েছে।
স্নাতকোত্তরের সর্বোচ্চ সময়সীমা ২ বছর এবং পিএইচডির মেয়াদ সর্বোচ্চ ৪ বছর। অস্ট্রেলিয়া সরকারের এডুকেশন, স্কিল ও এমপ্লয়মেন্ট ডিপার্টমেন্ট এ স্কলারশিপের অর্থায়ন করে থাকে।
অস্ট্রেলিয়ার ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয় আরটিপি প্রোগ্রামের অধীনে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
সুযোগ-সুবিধা—
*সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করবে;
*বার্ষিক উপবৃত্তি প্রদান করবে;
*স্বাস্থ্য বিমা সুবিধা প্রদান করবে;
*ভ্রমণ ভাতা প্রদান করবে;
*প্রোগ্রাম চলাকালীন গবেষণায় আলাদা ভাতা দেবে;
আরও পড়ুন:
আবেদনের যোগ্যতা—
*স্নাতকোত্তরের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সমমানের একটি স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে;
*পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী হতে হবে;
*গবেষণায় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে;
*ইংরেজি ভাষাদক্ষতার সনদ প্রদর্শন করতে হবে। আইইএলটিএসে ন্যূনতম ৬.৫ পেতে হবে;
*এ ছাড়াও আবেদন করতে ইচ্ছুক এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে;
প্রয়োজনীয় নথিপত্র—
*আবেদনকারীর পাসপোর্ট ও ছবি;
*একাডেমিক পেপারস;
*মোটিভেশন লেটার;
*রিসার্চ প্রপোজাল;
*রেফারেন্স লেটার;
*আবেদনকারীর সিভি;
*আইইএলটিএস একাডেমিক স্কোর বা টোয়েফল স্কোর;
আবেদন যেভাবে—
অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা। আবেদনের জন্য প্রার্থীকে প্রথমেই একটি পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করতে হবে, যেখানে তিনি স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি করতে চান। এরপর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে হবে।