বাংলাদেশি খাবার বিশ্ববাজারে জনপ্রিয় করে তুলতে নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে দুবাইয়ের রেস্টুরেন্টগুলো। খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি দেশীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিদেশের মাটিতে সমাদৃত করতে ভিন্ন রকমের এক আয়োজন করেছেন প্রবাসী ব্যবসায়ীরা।
বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশি খাবারের ভিন্নতা নিয়ে আসতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অভিজাত রেস্টুরেন্ট। দেশটিতে স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের কাছে বাংলাদেশি রকমারি খাবারের চাহিদা দিন দিন বাড়তে থাকায় এ খাতকে আরও এগিয়ে নিতে বেশ কিছু নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
শুধু তাই নয়, দুবাইয়ে রেস্টুরেস্ট ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করেছেন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী। আমিরাতে ভারতীয় রেস্টুরেন্টগুলোকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশকে কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায়, সে লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপও নিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, এই আয়োজনে আমাদের প্রবাসীরা খাদ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি ফুটিয়ে তুলেছেন। এটি তাদের একটি চমৎকার উদ্যোগ।
বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাহতাবুর রহমান নাসির বলেন, আমাদের খাবারের মান অত্যন্ত ভালো। বিদেশিরা আমাদের দেশের খাবার খেয়ে অত্যন্ত প্রশংসা করেন।
ব্যবসায়ীদের মতে, দেশীয় খাবারের প্রতি বিদেশীদের আকর্ষণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা সহজেই নিজেদের ব্র্যান্ড ব্যবহার করে এ খাতে সফল হতে পারবেন। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের কারি অ্যাওয়ার্ডের মতো আমিরাতেও বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টগুলোকে প্রতিযোগিতার আওতায় এনে সম্মানিত করার দাবিও জানান তারা।
বাংলাদেশ উইমেন অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আবিদা হোসেন বলেন, বাঙ্গালিয়ানার ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। সেটি প্রশংসার দাবি রাখে।
এদিকে খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরার ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে বেশকিছু বাংলাদেশি খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এতে করে দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশেও প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
Like this:
Like Loading...