ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এর আয়োজনে শুরু হয়েছে ১১তম বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)। এবারের আন্তর্জাতিক এই পর্যটন মেলায় টাইটেল স্পন্সর হিসেবে আছে ফার্স্ট ট্রিপ।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) তিনদিনব্যাপী বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার-২০২৩ উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন এই মেলায় মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ ফি থাকছে না। অন্যরা ৩০ টাকা এন্ট্রি ফি দিয়ে মেলা উপভোগ করতে পারবেন।
আন্তর্জাতিক ও দেশি এয়ারলাইন্স, ট্যুরিজম বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার ও বিভিন্ন হাসপাতাল মেলায় অংশ নিয়েছে। তারা নিজেদের সেবার উপর বিশেষ মূল্য ছাড়সহ নানান সুবিধা দিচ্ছে। এছাড়া ট্যুর অপারেটররা দিচ্ছে বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্যাকেজ।
মেলায় ৩টি হলে ১৪টি প্যাভিলিয়নসহ ১৫০টি স্টল রয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এবার মেলায় দুটি সেমিনারের আয়োজনও করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক এই মেলার আয়োজন করেছে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। মেলাযর পৃষ্ঠপোষকতা করছে ফার্স্ট ট্রিপ। মেলার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, এফবিসিসিআই এবং বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, দেশের পর্যটন খাতের অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। এই মেলার মাধ্যমে দেশের পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টরা বাংলাদেশের পর্যটন খাতের সম্ভাবনাকে আমাদের দেশসহ অন্যান্য দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। টোয়াবের এই মেলা দেশি-বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে সহায়ক হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সদস্য শিবলুল আজম কোরেশী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোহাম্মদ ইউনুস।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মোকাম্মেল হোসেন, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিস্কো ডি আসিস বেনিটেজ সালাস, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী কদর, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের, শ্রীলঙ্কান হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি শ্রীমালি জয়ারত্না, জাপান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি কেন কমিনি, জাপান ন্যাশনাল ট্যুরিজম অরগানাইজেশনের সিনিয়র ডিরেক্টর কানয়াকুমারী প্রমুখ।
বিভিন্ন দেশের জাতীয় পর্যটন সংস্থা ও ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়াও ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, জাপান ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটর এবং ট্রাভেল এজেন্টরা অংশ নিয়েছে মেলায়।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে এই পর্যটন মেলা চলবে আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত।