এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে দেশের ৮টি বিমানবন্দর। এতে বিমান পরিচালনা ও যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলেও এ খাতে সংকট রয়েছে দক্ষ জনবলের। সৌজন্যবোধসম্পন্ন লোকবল তৈরি না হলে অবকাঠামো উন্নয়ন কাজে আসবে না বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে রাতারাতি সম্ভব নয় জানিয়ে সিভিল এভিয়েশন বলছে, মেধাবীদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার।
স্বাধীনতার পরপরই বিশ্ব এভিয়েশনে যুক্ত হয় বাংলাদেশ। পেরিয়েছে ৫০ বছর। দেরিতে হলেও গুরুত্ব বেড়েছে দেশের এভিয়েশন খাতের। বিশ্বের সঙ্গে এগিয়ে যেতে চলছে হযরত শাহজালাল ও কক্সবাজারসহ ৮ বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ। এতে প্রায় ৩২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা খরচ করছে সরকার।
চলমান উন্নয়ন কাজে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ, বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণসহ বৃদ্ধি করা হচ্ছে কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ও প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা। লক্ষ্য আরও বেশি এয়ারলাইনস পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রী চলাচল বৃদ্ধি করা। কিন্তু অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি পেলেও কতটা প্রাণবন্ত বা মুগ্ধকর হবে সিভিল এভিয়েশন কর্মীদের আতিথিয়তা, এমন প্রশ্নই বিশেষজ্ঞদের।
এ বিষয়ে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এ টি এম নজরুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, ‘সার্ভিসের জন্য আলাদাভাবে প্রবণতা বা ওই ধরনের মানসিকতার লোকের দরকার হয়। সেটা তারা কতটুকু নিশ্চিত করতে পারবে, তা জানি না। কিন্তু সেটা করতে হবে। তা না হলে শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে, আমরা যে স্তরে আছি, সেই স্তরেই থাকব।’
তিনি আরও বলেন,
এ জন্য ভালো ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে, যার ভেতরে সেবার বিষয়টা থাকবে। সেবাটাই এখানে প্রথম। যাত্রীর মৌলিক অধিকার সম্পর্কে একজন নিরাপত্তকর্মীকেও জানতে হবে।
তবে জনবল সংকটে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান জানান, টেকনিক্যাল জনসম্পদ রাতারাতি তৈরি সম্ভব নয়।
তিনি বলেন,
দেশের সব বিমানবন্দরে আমরা উন্নয়ন করছি। ওই জায়গায় জনবল বাড়ানোর জন্য আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। এটা হঠাৎ করে বাড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ, সিভিল এভিয়েশনের জনবল হলো টেকনিক্যাল। এই টেকনিক্যাল জনবল তৈরি করতে সময় লাগে।
অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে সিভিল এভিয়েশন কর্মীরা অনেকটা সচেতন ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে বলেও দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।