নৌপথে বাংলাদেশ থেকে ভারত যাত্রার ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশি এক শিপিং কোম্পানি। সবকিছু ঠিক থাকলে নভেম্বরের শেষের দিকে চালু হবে এ সার্ভিস।
বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানি এমকে শিপিং জানিয়েছে, অক্টোবর মাসেই এ সার্ভিস চালু হওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতার কারণে নভেম্বর মাসের ২০ তারিখ থেকে চালু হবে এ শিপিং সার্ভিস।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, এ ব্যাপারে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো তারিখ ঠিক করে দেয়া হয়নি। নদীতে বিদেশ ভ্রমণে ভিসা সংক্রান্ত কিছু জটিলতা আছে। এসব জটিলতা সামাধান হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরিফ বলেন, ইতোমধ্যে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা সমাধান করা হবে।
শিপিং সার্ভিসের ব্যাপারে কোম্পানিটি থেকে জানানো হয়েছে, এই ভ্রমণে ৩০০-৩৫০ মানুষ অংশ নিতে পারবে। ওয়ান ওয়ে ট্রাভেলে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৬ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে।
ঢাকার সদরঘাট থেকে কলকাতার হাওড়া পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে দুই দিন। গন্তব্যে পৌঁছে তিন দিন কলকাতা অবস্থান করবে জাহাজ। এ সময় জাহাজে করেই ভারতের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারবেন পর্যটকরা।
এর আগে ২০১৯ সালের মার্চে এমভি মধুমতি ঢাকা-কলকাতা যাত্রা শুরু করলেও এ ভ্রমণ লাভজনক না হওয়ায় তা বন্ধ হয়ে যায়। মধুমতির পর এবার এমকে আরও সুবিধা নিয়ে ঢাকা-কলকাতা যাত্রা শুরু করছে; যা পর্যটকদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।