ঢাকার কাছেই এমন কিছু সুন্দর জায়গার খোঁজ দেয়া হলো-
মৈনট ঘাট
অনেকেই মৈনট ঘাটকে বলেন ‘মিনি কক্সবাজার’। ঢাকা থেকে একটু দূরে পদ্মার পাড়েই জায়গাটির অবস্থান। মৈনট ঘাটে পৌঁছেই দেখতে পাবেন সামনে বিশাল নদী আর পায়ের নীচে ধুলোর সমুদ্র। আরেকটু সামনে গেলেই পাথর। কাছে নৌকা আর স্পীডবোটও আছে, পদ্মার বুকে ভেসে বেড়াতে পারবেন ইচ্ছে মতো।
গোলাপ গ্রাম
গোলাপে গোলাপে পরিপূর্ণ ছোট্ট একটা গ্রাম। মনে হবে যেন শুধু ফুলের সমুদ্র। যেখানে তাকাবেন সেখানেই শুধু ফুল আর ফুল। ক্ষেতে, মাঠে, ঘাটে, বাড়ির উঠানে – এমন কোন জায়গা নেই যে গোলাপের ছোঁয়া নেই। গ্রামের সরু পথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখবেন পথের দুপাশে শুধু গোলাপের সারি। এমন দৃশ্য কার না ভালো লাগে!
নুহাশ পল্লী
গাজীপুর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ মনের রঙে গড়ে তুলেছেন নুহাশ পল্লী। অসংখ্য ওষুধি গাছ, ফলজ আর বনজ গাছে সবুজে একাকার এ জায়গাটি। এখানেই হুমায়ূন আহমেদ গড়ে তুলেছিলেন স্যুটিং স্পট, দিঘি আর সুদৃশ্য বাংলো। আরো তৈরি করা হয়েছে রূপকথার মৎস্যকন্যা আর রাক্ষস। সবুজের বুকে লেখকের স্বপ্নে গড়া এমন সুন্দর জায়গায় প্রিয়জনের সঙ্গে খুব সুন্দর সময় কাটিয়ে আসতে পারেন।
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি
দেশের সবচেয়ে বড় জমিদারবাড়িগুলোর একটি বালিয়াটি জমিদার বাড়ি। ঢাকা থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে সাটুরিয়া উপজেলয় এই প্রাচীন বাড়িটি অবস্থিত। বাড়িতে এখনো বেশ জমিদারি ভাব। বাড়ির সিংহ দরজার সামনে প্রশস্ত আঙ্গিনা, চারটি বহুতল ভবন, এর পেছনে জমিদার অন্দরমহল আর বাড়ি ঘিরে কয়েকটি পুকুর। জমিদার বাড়ির ভিতরে রং মহল নামের ভবনটি এখন জাদুঘরও করা হয়েছে।
জিন্দাপার্ক, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার একটি গ্রামের প্রায় ৫০ একর জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা এ পার্ক। বিশুদ্ধ কোলাহলমুক্ত পার্কটিতে আছে ২৫০ প্রজাতির ১০ হাজারের বেশি গাছ-গাছালি, ট্রি-হাউস, টিলা, ফুলের বাগান এবং লেকের ওপর চমৎকার ব্রিজ। পুরো পার্কজুড়ে বিছানো কার্পেটের মত ঘাস আর পাঁচটি জলধারা।