রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পর্যটন নগরী বান্দরবান

  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩

পাহাড়কন্যা বান্দরবান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পর্যটন নগরী বান্দরবান দেশের সব জেলার ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে সুপরিচিত নাম। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ ছুটে যান। নীলগিরি, স্বর্ণমন্দির, মেঘলা, শৈল প্রপাত, নীলাচল, মিলনছড়ি, চিম্বুকসহ অনেক জায়গা আলোচিত।

বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৪৭ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে লামা উপজেলার অংশে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দুই হাজার ২০০ ফুট ওপরে বাংলাদেশের নতুন পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরির অবস্থান। একে বাংলাদেশের দার্জিলিং হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে।

বর্তমানে স্বর্ণমন্দির উপাসনালয়টি বান্দরবান জেলার একটি অন্যতম পর্যটন স্পট হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। এরই মধ্যে বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কটির সব ধরনের মানোন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে। এটি উদ্বোধন হলেই বান্দরবানবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে।

জানা গেছে, অন্যান্য সময়ের মতো বর্তমানে পর্যটকে মুখর চারদিক। হো‌টেল কর্তৃপক্ষ জানায়, জেলার বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টে পর্যটকে পরিপূর্ণ।

সরেজমিনে দেখা‌ গে‌ছে, মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি ও নীল দিগন্তসহ সব পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা। তাদের পদচারণায় মুখর পর্যটন নগরী। আবার শীত আসছে। সেসময় পর্যটকদের পদচারণা আরো বাড়বে।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজারো পর্যটক বান্দরবানে সারা বছরই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। তবে সরকারি ছু‌টি কিংবা বিশেষ দিনে পর্যটক বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, বান্দরবানে হাজার হাজার পর্যটক এসে থাকেন। শীত মৌসুমে পর্যটক আরো বাড়বে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিটি পর্যটন কে‌ন্দ্রে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। ট্যুরিস্ট পু‌লিশ সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। আশা কর‌ছি, পর্যটকরা নিরাপদে থাক‌তে পারবেন। কোনো সমস্যা হলে আমরা দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।

এদিকে, বান্দরবানবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল, বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কটির মানোন্নয়ন করা। সড়কটি চালু হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো নিরাপদ হবে। স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলায় আগত পর্যটকদের ভ্রমণে আরো বেশি আনন্দ দেবে, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ার কারণে পরিবর্তন আসবে মানুষের দৈনন্দিন জীবন-জীবিকায়। সমৃদ্ধ হবে অর্থনীতি।

স্থানীয়রা বলেন, এ সড়কের মাধ্যমে বান্দরবানবাসী তাদের নিজস্ব উৎপাদিত কৃষিপণ্য কম খরচে এবং খুবই অল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন জেলায় পাঠাতে পারবেন। এই সড়কটির ফলে পার্বত্য বান্দরবানের জনসাধারণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ ও পর্যটন শিল্পে ব্যাপক প্রসার ঘটবে।

কেরানীহাট-বান্দরবন মহাসড়ক প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কেরানীহাট-বান্দরবন মহাসড়ক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে এ এলাকার জনসাধারণের জন্য একটি নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com