1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আঁধার মালদ্বীপে
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সস্তায় বিদেশ ভ্রমণ: স্বপ্নকে সত্যি করার বিজ্ঞানসম্মত গাইড ব্রিটেনে ভিসা বদল, বাংলাদেশিদের জন্য কী পরিবর্তন ক্রিপটিক গর্ভাবস্থা – যখন নিজেই জানেন না আপনি গর্ভবতী পর্যটন ভিসায় বিদেশ গিয়ে কাজ করলে কী কী শাস্তি হতে পারে স্পা থেকে সিনেপ্লেক্স , যা যা আছে বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বিমানবন্দরে তিন বছরে পাঁচ লাখ কর্মী নেবে ইটালি, সুযোগ পেতে পারেন বাংলাদেশিরাও চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইইউতে অভিবাসী কমেছে ২০ ভাগ, শীর্ষে বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ প্রবেশে শীর্ষে বাংলাদেশ ভারতের এই গ্রামে মেয়েদেরকে কাপড় ছাড়াই থাকতে হয়

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আঁধার মালদ্বীপে

  • আপডেট সময় শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত দেশ ভারত মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপ। প্রকৃতি এখানে এমনভাবে সেজেছে যে মানুষ মুগ্ধ না হয়ে পারে না!

তাই তো পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষও কর্মব্যস্ত জীবন থেকে মুক্তি নিয়ে প্রকৃতির টানে ছুটে যান মালদ্বীপে।

আমরাও শীতের ছুটি কাটাতে বেছে নিই মালদ্বীপ আর শ্রীলঙ্কা সফর। দিনটি ছিলো ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর।

মালদ্বীপে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে কোনো সরাসরি প্লেন নেই। সাধারণত দু’ভাবে যাওয়া যায় দেশটিতে। একটি মালদিভিয়ান অ্যারো আর মিহিন লঙ্কা হয়ে।

মালদিভিয়ান অ্যারোতে মিহিন লঙ্কা থেকে খরচা কিছুটা বেশি। তবে ট্রানজিট টাইম কম হওয়ায় এবং যাতায়াতের সুবিধার্থে আমরা বেছে নিই মালদিভিয়ান অ্যারোর ফ্লাইটটি।

মালে সময় রাত ১০ টায় দেশটির ইব্রাহিম নাসির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাই আমরা।
বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন অফিসারের কাছে ফরম জমা দিয়ে ৩০ দিনের অন অ্যারাইভাল ভিসা পাই। সব কিছু শেষে বের হয়ে দেখি অ্যারাইভাল টার্মিনালে হোটেল ক্রিস্টাল বিচ ইন’র স্টাফ, হাতে বাবার নাম লেখা প্লেকার্ড। আমাদের নেওয়ার জন্যেই অপেক্ষা করছে তারা।

হোটেল যাওয়ার পথে সড়কের দু’পাশে চোখে পড়লো সাগর। পরের দিন সকালে, নাস্তা সেরে বের হয়ে পড়লাম দ্বীপ ঘুরে দেখার জন্য। এত ছোট একটি দ্বীপ, যা হেঁটে হেঁটেই শেষ করা যাবে। আমাদের ওইদিন আরেকটি রিসোর্টে বুকিং ছিলো।

বুকিং করা রিসোর্ট ‘আন্দামান প্রেস্টিজ ভাদো’র প্রাইভেট স্পিড বোটে করে যাই সেখানে। রিসোর্টে আমাদের অভ্যর্থনা জানালেন স্টাফরা।

দ্বীপে ঘ‍ুরাফেরার পাশাপাশি সূর্যাস্তও দেখলাম সাগর তীরে। কী এক অপরূপ দৃশ্য, বলে বুঝানো যাবে না। রাতে ঘুমানোর সময় পানির স্রোতে হেলে-দুলছিলো আমাদের রিসোর্ট। মনে হচ্ছিলো কেউ যেনো ধরে নাড়া দিচ্ছে।

পরদিন ফের চলে এলাম সেই হুলহুমালে দ্বীপে। সেখানে পৌছে, ক্রিস্টাল বিচ ইন হোটেলে ব্যাগ রেখে তাদের একজন স্টাফ কে নিয়ে বের হয়ে পরলাম মালের উদ্দেশ্যে। ফেরিতে করে যেতে হয় মালে।

মালে শহরটা ছিমছাম, দেখতে পেলাম ছোট-খাট দালান-কোঠা, রয়েছে শপিং মলও। জানা গেলো, দেশটিতে মাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়। কোনো মেডিকেল কলেজ নেই।

এবার ডাইভ পযেন্টে যাওয়ার পালা, যাওয়ার সময় চোখে পড়লো গ্রেনার ফ্রাইডে মসজিদ, জাতীয় জাদুঘর, প্রধানমন্ত্রীর অফিসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

ডাইভ স্পটে পৌঁছে ১২০ ফুট নিচে সমুদ্রের গভীর তলদেশে যাওয়‍ার প্রস্তুতি। তলদেশে দেখা মিললো-বিভিন্ন ধরনের মাছ, গাছ-গাছালি, এমনকি কিছু অদ্ভূত ধরনের প্রাণীরও।

এসব দৃশ্য নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হবে না! ৪৫ মিনিট ডাইভের পরে শেষ হলো আমার মালে যাত্রা। সেখান থেকে, হুলহুমালেতে হোটেলে ফেরা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com