দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর উটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও বিখ্যাত চা এবং হাতে তৈরি চকলেটের জন্য। উটির দি টি ফ্যাক্টরিতে রয়েছে টি মিউজিয়াম। যা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার দর্শনার্থী আসেন চা তৈরি ও চায়ের ইতিহাস জানতে।
নীলগিরি পাহাড়ের কোলঘেঁষে মেঘ আর সবুজে আচ্ছাদিত পাহাড়ি জনপদ। ইউক্যালিপটাস, পাইনের বন; কফি আর চা বাগানে মোড়ানো এই জনপদটি দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর উটি।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আঁধার উটির চারদিকে ব্রিটিশ সামাজ্যবাদের ছাপ এখনো স্পষ্ট। এখানে চায়ের প্রচলন সেই সময় থেকেই। শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে নীলগিরি পাহাড়ে ১ হাজার ৮৩৯ মিটার উচ্চতায় উটির এই টি ফ্যাক্টরি ও মিউজিয়াম অত্যন্ত জনপ্রিয়।
এক একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠা কারখানাটিতে রয়েছে চা জাদুঘর। ১০ রুপিতে টিকেট কেটে ভেতরে যেতে হয়। সেখানে আছে চায়ের ইতিহাস সম্বলিত ছবি। সেই সাথে আছে ঘোর লাগা চায়ের কাঁচা পাতার তীব্র ঘ্রাণ।
পাতা থেকে চা তৈরির পুরো প্রক্রিয়াটি দেখতে প্রতিদিন এখানে গড়ে ৪ হাজার দর্শনার্থী আসেন। সূর্যের আলোতে শুকিয়ে তৈরি করা সিলভার টিপস চা সবচেয়ে ভালো বলে জানান কারখানার ম্যানেজার।
উটি চা ফ্যাক্টরির ম্যানেজার বর্ধমান রাজ বলেন, “চায়ের পাতা থেকে বিভিন্ন স্বাদের সব ধরনের চা এখানে উৎপাদিত হয়। এখানে প্রতিদিন গড়ে ১ টন চা উৎপাদন হয়। কাজ চলে এক শিফটে। সংয়ক্রিয় পদ্ধতিতে চা প্রক্রিয়াজাত করা হয়।”
চা উৎপাদন ও প্যাকেজিং প্রক্রিয়া দেখা শেষে দর্শনার্থীদের মিলবে অতুলনীয় স্বাদের গরম এক কাপ চা। পাশের দোকান থেকেও কিনতে পারবেন নানা স্বাদের চা।
এরপরেই চকলেট কারখানা দেখার পালা। ব্রিটিশ আমল থেকেই এখানকার হাতে তৈরি চকলেট বিখ্যাত। স্বাদে ও মানে অনন্য এই চকলেট কেজি প্রতি আটশ’ থেকে ২ হাজার রুপিতে বিক্রি হয়।
উটি চা ফ্যাক্টরির বাইরের মনোমুগ্ধকর পরিবেশও দর্শনার্থীদের সমানভাবে আকর্ষণ করে।