সাগরের গর্জন শুনতে চান? সমুদ্রের ধারে লোনা পানিতে পা ভিজাতে ইচ্ছে করছে? পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বা বন্ধুদের সঙ্গে অলস সময় কাটানোর জন্য অথবা নিজের কাছে একলা হতে দুই দিনের ছুটি নিয়ে চলে যান নারকেল জিঞ্জিরা হিসেবে পরিচিত সেন্টমার্টিন দ্বীপে।
ছোট নুড়ি, পাথর, প্রবাল, শামুক, ঝিনুকে ভরা এখানের সৈকত। চারধারে অনন্ত জলরাশি, গাঙচিল উড়াউড়ি করছে। একটু শান্ত, নিরিবিলি, একান্ত সময় কাটানোর জন্য সেরা সৈকত। ইচ্ছে মতো সাঁতার কাটা থেকে ঢেউয়ের প্রাবল্য দেখতে দেখতে সময় কখন পেরিয়ে যাবে টের পাওয়া যায় না। ছবি তোলার জন্যও সেরা জায়গা।
আপনি যদি একজন প্রকৃতিপ্রেমী হন, তবে এই জায়গাটি কিভাবে উপভোগ করবেন সেটা আপনার ভাবার প্রয়োজন নেই। এখানে দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ছেঁড়া দ্বীপ। এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল- নীল সমুদ্র আর সামুদ্রিক মাছের রেসিপি।
স্বচ্ছ নীল পানির সঙ্গে নীল আকাশ মিলে যে দিগন্ত তৈরি করে তা সেন্টমার্টিনের প্রকৃতির আলাদা সম্পদ।
এখানে অন্যতম আকর্ষণ প্রবাল। প্রবাল এক ধরনের অমেরুদণ্ডী প্রাণী, বহিরাবরণ শক্ত হওয়ায় এদের পাথরও ভাবা হয়। পলিপ নামের অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণীর সমন্বয়ে তৈরি হয় প্রবাল। এই প্রবালের মাধ্যমে যেই দ্বীপ গড়ে উঠে তাকে প্রবাল দ্বীপ বলে। সেন্টমার্টিন যেহেতু প্রবালের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে তাই তাকে প্রবাল দ্বীপও বলা হয়।
জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও মাছের জনসংখ্যার বৃদ্ধির জন্য প্রবাল গুরুত্বপূর্ণ, সুতরাং প্রবাল প্রাচীরগুলো রক্ষা করাও গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাল প্রাচীরগুলো অ্যানথ্রোপোজেনিক প্রভাবের হুমকির মধ্যে রয়েছে, এর কয়েকটি ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী বড় প্রভাব ফেলেছে।
যদিও পর্যটকদের অবাধ যাতায়াতে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের অস্তিত্ব ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে, তবে তা রক্ষায় আমাদেরই সচেতন হতে হবে।