বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কতটুকু সফল হতে পারবে? ইলন মাস্কের স্টারলিংক এর সাথে ট্র্যাডিশনাল ইন্টারনেট এর পার্থক্য নিয়ে মানুষ এখনও পুরোপুরি জানে না। স্টারলিংক ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট সার্ভিস দেয় না। এটি স্পেসএক্স এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট যা ইলন মাস্ক দ্বারা প্রবর্তন করা হয়।
স্টারলিংক এর উদ্দেশ্য হচ্ছে লো অরবিট স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্বের সব অঞ্চলে ইন্টারনেট ছড়িয়ে দেওয়া। স্টারলিংক নেটের একটি সুবিধা হচ্ছে লেটেন্সি কম দেখাবে। কারণ পৃথিবী থেকে এসব স্যাটেলাইটের দূরত্ব কম থাকে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বাসায় ডিশ পরিষেবা যেভাবে ব্যবহার করেন সেভাবে স্টারলিংক নেট ইনস্টল করতে হবে। ব্যবহারকারী ডিশ ব্যবহার করবে যা মিনি স্যাটেলাইট থেকে সংকেত গ্রহণ করবে।
এটির সবথেকে বড় সুবিধা হচ্ছে যেকোনো জায়গা থেকে ব্যবহার করা যাবে। অনেক সময় প্রত্যাশা থেকেও বেশি স্পিড পাওয়া যাবে বা দুর্দান্ত সেবা পেতে পারেন। গ্রাম বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্টারলিংক নেট আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করলেও করতে পারে।
কেবল তার না থাকার কারণে ঝামেলাও কম। স্টারলিংক ইন্টারনেটের কিছু অসুবিধাও আছে। যেমন বর্তমানে লেটেন্সি একটি ইস্যু হয়ে দাড়িয়েছে। তার জন্য আকাশ পরিষ্কার থাকতে হবে। বৃষ্টি, বৈরি আবহাওয়া সমস্যার কারণ হতে পারে।
তবে স্টারলিংক সেবার দাম বেশি হওয়ায় সবার পক্ষে তা গ্রহণ করা হয়তো সম্ভব হবে না। কেননা মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি দিতে হয় ১১০ ডলার। আএ এককালীন ইনস্টল ফি দেওয়া জন্য গুনতে হয় ৫০০ ডলারের বেশি।
তবে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এই নেট নিলে প্রতি মাসে ৫০০ ডলার খরচ হয়ে যাবে। বাংলাদেশে এ সার্ভিস বড় পরিসরে আসতে যাচ্ছে। স্টারলিংক বাংলাদেশের জন্য কতটুকু জল্যাণকর হয় তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।