পৃথিবী এক বিশাল এবং বৈচিত্র্যময় ল্যান্ডস্কেপে পূর্ণ। নীলগ্রহের বুকে এমন কিছু জায়গা আছে যা কল্পকাহিনীর সঙ্গে সহজেই তুলনা করা যায়। এরকম বিচিত্রময় ১৫টি স্থানের বর্ণনা তুলে ধরা হলো-
মানুষের তৈরি এই জিওথার্মাল গিজারটি দুর্ঘটনাক্রমে তৈরি হয়েছিলো। পানির জন্য এলাকাটি ড্রিল করার পরে এবং একাধিকবার পুনরায় সিল করার পর, খনিজ সঞ্চয় জমে তৈরি হয় ফ্লাই গিজার। থার্মোফিলিক শৈবালের সাথে জায়গাটি চমৎকার লাল এবং সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে ।
২. গ্র্যান্ড প্রিজম্যাটিক স্প্রিং, ইয়েলোস্টোন
ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস অনুসারে, ইয়েলোস্টোনের বৃহত্তম উষ্ণ প্রস্রবণ ২০০-৩৩০ফুট ব্যাস এবং ১২১ ফুট গভীর। এর রংধনু প্যাটার্নটি থার্মোফিলিক শেত্তলা এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা তাপমাত্রা পরিবর্তনের সাথে তৈরি হয়েছে। এটির জীবাণুমুক্ত উষ্ণ পানি মানুষের মনকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
৩. রেইনবো মাউন্টেন, পেরু
ভিনিকুঙ্কা, বা সাত রঙের পর্বত নামেও এটি পরিচিত। রেনবো মাউন্টেন ২০১৫ সালে এর স্বাভাবিক তুষার আচ্ছাদন গলে যাওয়ার পরে আবিষ্কৃত হয়েছিল। গোলাপ, সোনা, পুদিনা এবং ল্যাভেন্ডার রঙা স্ট্রাইপগুলি পর্বতের খনিজ পদার্থ এবং সময়ের সাথে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে তৈরি হয়েছে।
৪. ডানাকিল ডিপ্রেশন, ইথিওপিয়া
ডানাকিল ডিপ্রেশন উত্তর ইথিওপিয়ার নীচে তিনটি টেকটোনিক প্লেটের বিচ্যুতির ফলাফল। সালফার স্প্রিংস, আগ্নেয়গিরি, হ্রদ এবং পুলগুলি এই ভয়ঙ্কর মরুভূমির গঠনকে ঢেকে রাখে যেখানে তাপমাত্রা ১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট
৫.লেক হিলিয়ার, অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার বার্বি-গোলাপী লেক হিলিয়ার শৈবাল, হ্যালোব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি হয়েছে। এটি মৃত সাগরের সমান লবণাক্ততায় পূর্ণ।
৬. ক্রিস্টাল গুহা, নাইকা, মেক্সিকো
জিপসামের বিশাল স্ফটিক স্তম্ভগুলি আর্দ্র গুহাকে পূর্ণ করে রেখেছে। এর স্ফটিক শত শত হাজার বছর পুরনো এবং সক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
৭. প্রিন্সেস এলিজাবেথ মেরু গবেষণা কেন্দ্র, অ্যান্টার্কটিকা
অ্যান্টার্কটিকার প্রিন্সেস এলিজাবেথ স্টেশনটি প্রথম শূন্য-নির্গমন মেরু গবেষণা কেন্দ্র। ইন্টারন্যাশনাল পোলার ফাউন্ডেশনের মতে, কেন্দ্রটি প্যাসিভ বিল্ডিং প্রযুক্তি, পুনর্নবীকরণযোগ্য বায়ু, সৌর শক্তি এবং পানি ট্রিটমেন্ট সুবিধাগুলিকে একীভূত করে এবং শক্তির দক্ষতা সর্বাধিক করার জন্য নিবেদিত।
৮. হ্যাবিটেট ৬৭, মন্ট্রিল, কানাডা
স্থপতি মোশে সাফদি ১৯৬৭ সালে মন্ট্রিলের একটি কৃত্রিম উপদ্বীপ সিটি-ডু-হাভরে হ্যাবিট্যাট ৬৭ তৈরি করেছিলেন।মডুলার কাঠামোটি শহুরে জীবনযাত্রাকে নতুন করে উদ্ভাবন করার জন্য ছিল এবং আজ একটি অনন্য স্থাপত্যর নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ।
৯. ইডেন প্রজেক্ট, কর্নওয়াল, ইংল্যান্ড
ইডেন প্রজেক্ট হলো একটি পরীক্ষামূলক উদ্যান, যার লক্ষ্য পরিবেশগত সম্প্রীতি এবং সামাজিক সমতার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা। কর্নওয়াল, ইংল্যান্ডে এটি অবস্থিত।
১০. পানির নিচের জলপ্রপাত, মরিশাস দ্বীপ
ভারত মহাসাগরের মাদাগাস্কারের পূর্বে মরিশাস দ্বীপটির নীল উপহ্রদের নীচে একটি জলপ্রপাত রয়েছে । জলপ্রপাতটি আসলে মহাদেশীয় শেলফের ড্রপ দ্বারা সৃষ্ট একটি দৃষ্টি বিভ্রম।
১১. উপসাগরের গার্ডেন, সিঙ্গাপুর
সিঙ্গাপুরের গার্ডেনস বাই দ্য বে হলো একটি “হর্টিকালচার এবং বাগানের শিল্পকলার প্রদর্শনী,” যা অক্টোবর, ২০১১ সালে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল। এই বাগান শহর মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
১২. সালার ডি ইউনি, বলিভিয়া
বলিভিয়ার সালার দে ইউনি বিস্ময়কর, তবুও সুন্দর। এটি লবণ এবং লিথিয়ামের সংমিশ্রনে তৈরি, সেইসাথে একটি পর্যটন গন্তব্য।
১৩. সোকোট্রা, ইয়েমেন (রক্ত ড্রাগন গাছ)
উদ্ভট ড্রাগন ব্লাড ট্রি ছাতার ছাউনির মতো বেড়ে উঠেছে। এটি ইয়েমেন থেকে দুশো মাইল দূরে প্রত্যন্ত দ্বীপ সোকোট্রায় অবস্থিত ।
১৪. দ্য ওয়েভ, কোয়োট বাটস, অ্যারিজোনা
বাতাসের গতি বেলেপাথরের শিলার ওপর ডোরাকাটা গঠন তৈরি করেছে যা ওয়েভ নামে পরিচিত। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা-উটাহ সীমান্তে কোয়োট বাটসের অংশ।
১৫. স্বালবার্ড গ্লোবাল সিড ভল্ট, নরওয়ে
ক্রপ ট্রাস্টের মতে, নরওয়ের স্বালবার্ডের গ্লোবাল সিড ভল্ট হলো “বিশ্বের খাদ্য সংরক্ষণের জন্য চূড়ান্ত বীমা নীতি। ‘কারণ এটির ৪.৫মিলিয়ন শস্যের জাত এবং ২.৫ বিলিয়ন পর্যন্ত বীজ সংরক্ষণ করার ক্ষমতা রয়েছে।
সূত্র : লাইভ সায়েন্স